রাষ্ট্রপতির ছেলের গাড়িচালককে মারধরের অভিযোগ, জবি ছাত্রের নামে মামলা
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ছেলের গাড়িচালককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। এরই মধ্যে ওই শিক্ষার্থীসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেছেন নজরুল ইসলাম নামের ওই চালক।
ওয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবীর হোসেন হাওলাদার আজ মঙ্গলবার মামলা দায়েরের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জবির ওই শিক্ষার্থীর নাম কৌশিক সরকার সাম্য। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
অভিযোগ উঠেছে, মারধরের শিকার ওই ব্যক্তি রাষ্ট্রপতির ছেলে রিয়াদ আহমেদ তুষারের গাড়ির চালক। গত রোববার ওয়ারীতে অবস্থিত জবির শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম হলের কাছে কৌশিককে সাইড দিতে বলেন চালক নজরুল ইসলাম। ওই সময় নজরুলকে থুথু দেওয়ার পাশাপাশি মারধর করেন কৌশিক। পরে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম হলে ধরে নিয়ে কয়েকজন মিলে তাঁকে আরেক দফা মারধর করেন।
এদিকে, কৌশিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্যানেলের কর্মী বলে দাবি করা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে জানা যায়, তিনি নিজেকে শাখা ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ফেসবুকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আক্তার হোসেনের সঙ্গে নিজের ছবি ছাড়াও নিয়মিত ছাত্রলীগকেন্দ্রিক পোস্ট শেয়ার করতে দেখা যায় তাঁকে।
তবে, জবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আক্তার হোসেন বলছেন, কৌশিক ছাত্রলীগের কেউ নন। তিনি বলেন, ‘আমি নেতৃত্বে আসার পর এই ছেলে কখনও আমার সঙ্গে রাজনীতি করেনি। জগন্নাথে পাঁচ-ছয় হাজার শিক্ষার্থীর সঙ্গে আমাদের ছবি থাকতে পারে। তাই বলে এরা সবাইতো ছাত্রলীগ করে না।’
মামলার বিষয়ে ওসি কবীর হোসেন হাওলাদার বলেন, ‘গত পরশুর ঘটনা— রাষ্ট্রপতির ছেলের গাড়িচালক গাড়িটি ঘোরাচ্ছিলেন। ছেলেটা সেখানে দাঁড়িয়ে ছিল। চালক বলছেন, ছেলেটার গায়ে গাড়ি লাগেনি, সরে যাওয়ার জন্য হর্ন দিয়েছিলেন। ছেলেটা প্রথমে তাঁকে থুথু দেয়, মারধর করে। পরে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম হলে নিয়ে গিয়ে চার থেকে পাঁচ জন মিলে মারধর করে। গতকাল সন্ধ্যার পর মামলা হয়েছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করব। এরপর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনেছি। থানার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে।’