শিক্ষক আন্দোলনের সমাধানের চেষ্টা চলছে : শিক্ষামন্ত্রী
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আন্দোলনের সম্মানজনক সমাধানের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেছেন, ‘একটা কথা বললেই তো সঙ্গে সঙ্গে তার সমাধান হয়ে যায় না। কার্যক্রম শুরু করতে হয়। আমাদের মধ্যে আন্তরিক পরিবেশে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। আমরা কীভাবে এই সমস্যা সমাধান করতে পারি সেই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে এবং আমরা সেই কাজটিই চালিয়ে যাচ্ছি।’
অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোয় গ্রেড সমস্যা নিরসনের দাবিতে এই অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির চতুর্থ দিন আজ ক্লাস পরীক্ষা নেওয়া থেকে বিরত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। দেশের ৩৭টি স্বায়ত্তশাসিত ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এই কর্মবিরতি চলেছে।
আন্দোলনে সৃষ্ট এই সংকট সমাধানের ব্যাপারে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে ইতিবাচক ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘সরকারের কাছ থেকে এখন যে সিগন্যাল পাচ্ছি। তাতে মনে হয় এই আন্দোলন বেশিদিন চালাতে হবে। দ্বিতীয়ত আমাদের ছাত্রছাত্রীদের আশ্বস্ত করি, আমরা কিন্তু তাদের ক্ষতি পুষিয়ে দেব। আমাদের কাছে চমৎকার আইডিয়া রয়েছে। আন্দোলন চলবে এবং আলোচনাও চলবে। আমরা জানি, আমাদের নৈতিক যৌক্তিক দাবিগুলো সরকার মেনে নেবে।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাতিল সিরাজ বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা আশ্বস্ত হতে পারি এ রকম কোনো অগ্রগতি দেখছি না। এ কারণে আমরা বাধ্য হয়ে লাগাতার আন্দোলনে চালিয়ে এসেছি।’
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি)শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ড. আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘আন্দোলন আমাদের মুখ্য উদ্দেশ্য না, আমাদের মুখ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে সম্মানের জায়গাটা ফিরে পাওয়া এবং সেই জায়গাটা পুনঃস্থাপন করা।’
এ ছাড়া তরুণ শিক্ষকরা উচ্চ শিক্ষার্থে বিদেশে বৃত্তি পেতে এখনো নিজেরাই চেষ্টা করে ব্যবস্থা করেন। বেতন বৈষম্য নিরসনের পাশাপাশি এ ক্ষেত্রেও সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন তাঁরা।