মিয়ানমার সফরে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সামরিক অভ্যুত্থানে বেসামরিক নেত্রী অং সান সুচিকে ক্ষমতা থেকে অপসারণের পর প্রথমবার মিয়ানমার সফরে এসেছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। তাঁর এই সফরকে মিয়ানমারের সামরিক জান্তাকে চীনের বৈধতা দেওয়া হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞেরা। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে আজ রোববার এ তথ্য জানানো হয়।
গতকাল শনিবার মিয়ানমারে পৌঁছান ওয়াং ই। আজ রোববার ইউনেস্কো ঘোষিত ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট মধ্যাঞ্চলীয় বাগান শহরে ল্যানকং-মেকং কোঅপারেশন গ্রুপের সঙ্গে বৈঠক করার কথা।
বৈঠকটিতে মিয়ানমার, লাওস, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া ও ভিয়েতনামের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের উপস্থিত থাকার কথা। গ্রুপটি চীন নেতৃত্বাধীন একটি উদ্যোগ। এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে মেকং ডেল্টার দেশগুলো। এ অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান হারে পানিবিদ্যুৎ বিষয়ক প্রকল্প নিয়ে উত্তেজনা আছে। এসব প্রকল্পে বাঁধের কারণে নদীর প্রবাহ ঘুরে যাচ্ছে। দেখা দিচ্ছে জৈবপ্রকৃতির ক্ষতি। মেকংয়ের উত্তরে ১০টি বাঁধ নির্মাণ করেছে চীন।
এই বৈঠক নিয়ে গত শুক্রবার মিয়ানমারের রাজধানী নাইপিদোয় সংবাদ সম্মেলন করেন দেশটির সামরিক জান্তার মুখপাত্র মেজর জেনারেল জাওয়া মিন তুন। তিনি বলেন, এই বৈঠকে এসব পররাষ্ট্রমন্ত্রীর যোগ দেওয়ার অর্থ হলো মিয়ানমারের সার্বভৌমত্ব ও এর সরকারের বৈধতা স্বীকার করা। এই বৈঠকে মন্ত্রীদের সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করার কথা রয়েছে। তবে তিনি বিস্তারিত কিছু বলেননি।
তবে সামরিক জান্তা জেনারেল মিন অং হ্লাইংয়ের সঙ্গে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই সাক্ষাৎ করবেন কিনা তা স্পষ্ট নয়।