গাজী আনিসের মৃত্যু : সস্ত্রীক গ্রেপ্তার হেনোলাক্সের চেয়ারম্যান
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ব্যবসায়ী ও কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি গাজী আনিসুর রহমান নিজের শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনায় হেনোলাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ডা. নুরুল আমিন এবং তাঁর স্ত্রী ফাতেমা আমিনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে জানান র্যাবের ওই কর্মকর্তা।
এর আগে আজ দুপুরে গাজী আনিসের বড় ভাই নজরুল ইসলাম গাজী আনিসকে আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগে ওই দুইজনকে আসামি করে শাহবাগ থানায় মামলা করেছিলেন।
গতকাল সোমবার (৪ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাব এলাকায় গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ব্যবসায়ী গাজী আনিস। পরে তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সন্ধ্যায় তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হলেও আজ সকাল সোয়া ছয়টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
জানা গেছে, গাজী আনিসুর রহমানের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী। তিনি একসময় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি কুমারখালী উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের পান্টি বাজার এলাকার মৃত ইব্রাহিম বিশ্বাসের ছেলে। গত ৩১ মে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে হেনোলাক্স নামে একটি কোম্পানির কাছে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা পাওয়ার দাবি করেছিলেন গাজী আনিস। তার এক বন্ধু জানান, ওই টাকা না পেয়েই গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান গাজী আনিসুর রহমান।