ঈদের দিনেও গাবতলীর হাটে চলছে পশু বেচাকেনা
আব্দুল হালিম পাটোয়ারি। তিনি রাজধানীর গাবতলী পশুর হাটে পাঁচটি গরু নিয়ে এসেছিলেন। এর মধ্যে গতকাল রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত চারটি বিক্রি হয়ে যায়। অবশিষ্ট থাকে একটি। সেটি নিয়ে ফিরতে চাননি তিনি। থেকে যান হাটে। পরে আজ রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার সময় বিক্রি করে বললেন, ‘হাফ ছেড়ে বাঁচলাম।’
আব্দুল হালিমের মতো আরও অনেকেই আছেন গাবতলীর হাটে। চলছে বেচাবিক্রি। তবে, দাম গতকাল রাতের তুলনায় অনেক কম।
আব্দুল হালিম বলেন, ‘শেষ গরুটা দুই লাখ টাকায় বিক্রি করেছি। অথচ, এ গরুটির দাম তিন লাখ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। তখন বেচিনি। পরে অবিক্রিত থেকে যায়। এখন বাড়ি যাচ্ছি। ঈদের দিনেও ছেলে-মেয়ের মুখ দেখতে পেলাম না, এটাই আপসোস।’
কাদের উল্লাহ নামে এক ব্যবসায়ীর তিনটি গরু এখনও রয়েছে হাটে। কাদের বলেন, ‘গরুগুলো আজ রাতের মধ্যে বিক্রি করে পাবনার উদ্দেশে রওনা দেব।’
পশুক্রেতা নাজমুল হুদা এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আগেও একদিন হাটে এসেছিলাম। সেদিন গরুর দাম এত বেশি ছিল যে কিনতে পারিনি। তাই ঈদের দিনে আজ এসেছি। যাচাই-বাছাই করে একটা কিনে তারপর আজ হাট ছাড়ব।’
এদিকে, সামসুর রহমান নামের আরেক ক্রেতা বলেন, ‘ঈদের দিন ভিড় কম থাকে। আবার দামেও কম পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আজ গরু কিনে কাল কোরবানি দেব। সে জন্য আজ এসেছি।’