ওয়ানডের সাফল্য আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ
সিরিজটি আইসিসি সুপার লিগের অংশ না হলেও বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দুই ফরম্যাটেই ২-০ ব্যবধানে হেরেছে লাল-সবুজের দল। তবে ৫০ ওভারের খেলা সহজ হবে না তা ক্যারিবীয় দলটিও ভালো জানে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ছয় উইকেটের জয়টি গত মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত ওয়ানডে সিরিজের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম জয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের আগে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরেছিল।
গায়ানায় প্রবল বৃষ্টির কারণে সফরকারীরা ওয়ানডে সিরিজের আগে অনুশীলন করতে পারেনি। অবশ্য তামিম ইকবালের ওপর সব দায় চাপানো হয়েছে।
প্রতিষ্ঠিত তারকা সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমকে ছাড়াই প্রথমবার খেলেছে। কিন্তু তামিম আবারও প্রমাণ করেছেন, তিনি কঠিন পরিস্থিতিতে সফল।
প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেওয়া, আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলা ছিল দারুণ। ম্যাচের আউটফিল্ড ভেজা ছিল। তাই দেরিতে খেলা শুরু হয়। ৪১ ওভারে খেলা হয়।
ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সহজে সিঙ্গেল নিতে না দেওয়া, ক্লোজ-ইন ফিল্ডারদের রাখা। প্রায় প্রতি ওভারেই তিনি একজন স্লিপ ফিল্ডার রাখেন।
এতে সফলও হন। বাঁহাতি মিডিয়াম পেসার শরিফুল ইসলাম দুটি ডাবল উইকেট এনে দেন। নিজের প্রথম বলেই শাই হোপকে উড়িয়ে দেন মুস্তাফিজুর রহমান। পেসার পরিবর্তনে তাসকিন আহমেদ মুগ্ধ ছিলেন। অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ নিয়েছেন তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। দারুণ বোলিং পারফরম্যান্সে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৪৯ রানে আটকে দেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর ছয় উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্য তাড়া করে জিতে নেয় বাংলাদেশ।
কিন্তু বাংলাদেশের ক্যাচিং ও ব্যাটিং নিয়ে উদ্বেগ ছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের যখন ৭ উইকেটে ৯৬ রান, তখন চারটি ক্যাচ ফেলেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। গত কয়েক বছর ধরে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের গল্প এমনই।
২০১৫ সাল থেকে বাংলাদেশ ১০১টি ওয়ানডে খেলে ৫৬টিতে জিতেছে। অন্য দুটি ফরম্যাটে তারা খুব বেশি সাফল্য পায়নি।
মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা অধিনায়কের পদ থেকে সরে যাওয়ার পর তামিম ভালোই দল পরিচালনা করছেন। মাশরাফীর মতো তামিমেরও নেতৃত্বগুণ ভালো। তামিমও দলে বেশ জনপ্রিয়। তরুণ খেলোয়াড়রা তাঁকে খুবই পছন্দ করেন।
গত কয়েক বছর ওয়ানডেতে দারুণ উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ এখনও এক বছরের বেশি সময় বাকি। বাংলাদেশের জন্য এখনও অনেক কাজ বাকি। বিশেষ করে ব্যাটিং এবং ফিল্ডিংয়ে নজর দেওয়া।