নাড়ির টানে আজও ঢাকা ছাড়ছে মানুষ
ঈদুল আজহার পরদিনও ঢাকায় বসবাস করা মানুষ গ্রামের বাড়িতে ছুটছেন। আজ সোমবার সকাল থেকে রাজধানীর সদরঘাট টার্মিনালে ভিড় দেখা গেছে। সরেজমিন দেখা গেছে, ঈদের আগে বাসের টিকেট ও লঞ্চঘাটে ভিড় হওয়ার কারণে অনেকে ঈদের পরদিন বাড়ি যাওয়ার জন্য পরিবারসহ সদরঘাট টার্মিনালে এসেছেন।
রহমত উল্লাহ নামের এক যাত্রী বলেন, চাঁদরাত পর্যন্ত দোকানদারি করেছি। তাই ঢাকায় ঈদের দিন কোরবানি দিয়েছি। এখন বাড়ি ভোলায় যাচ্ছি, ওখানে গিয়েও কোরবানি দিবো। ঈদের আগের দিন অনেক ভিড় থাকবে বিধায় আজ নিরিবিলি যেতে পারছি।
মিশু নামের এক নারী বলেন, ঢাকায় শ্বশুর-শাশুড়ি থাকেন, তাই ঢাকায় কোরবানি দিয়েছি। এখন আমার বাবা মায়ের কাছে যাচ্ছি স্বামী-সন্তান নিয়ে। আগামী রোববার ঢাকায় ফিরে আসবো। ঈদে বেশি ভিড় থাকার কারণে আজ নিরিবিলি এসেছি। ঘাটে মানুষজনের চাপ রয়েছে, তবে বেশি একটা ভিড় দেখা যায়নি।
এদিকে রাজধানীর গাবতলী বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানেও ঘরমুখো মানুষের ভিড়। টিকেটের জন্য অনেকে দাঁড়িয়ে আছেন।
গাবলীতে সূর্যমুখী পরিবহণের কাউন্টার ম্যানেজার বলেন, দেশের বাড়িতে যেতে সকাল থেকে অতিমাত্রায় যাত্রী আসছেন। সে কারণে কাউকে কাউকে সুবিধামতো টিকিট দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। যাত্রীর চাপ বেশি থাকায় সকাল থেকে ৮টি বাস ছাড়া হয়েছে। তবে আগামীকাল থেকে এ ভিড় কমে যাবে।
এদিকে গাবতলীতে আসিফ নামের এক ব্যক্তি বলেন, গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরা যাচ্ছি। অন্যান্য সময় সাতক্ষীরা যেতে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা নেওয়া হলেও বর্তমানে ৮০০ টাকা টিকেটের দাম নেওয়া হচ্ছে। কম না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে বেশি দামে টিকেট সংগ্রহ করতে হয়েছে। তার মতো এমন অনেকে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করেন।
এ লাইন পরিবহণের সুপারভাইজার তরিকুল ইসলাম জানান, যাত্রীর চাপ বেশি থাকলেও তাদের পরিবহণের সংখ্যা কম থাকায় সকাল থেকে দুটি বাস ছাড়া হয়েছে। তবে গাড়ির সংখ্যা প্রয়োজনে আরও বাড়ানো হবে।