দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে কিমের স্বীকৃতি, সম্পর্ক ছিন্ন করলেন জেলেনস্কি
ইউক্রেনের দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলকে স্বাধীন প্রজাতন্ত্র হিসেবে সরকারিভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। এর প্রতিক্রিয়ায় উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে ইউক্রেন। খবর এনডিটিভির।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক সম্প্রতি স্বাধীনতা ঘোষণা করে। এবং তাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করছে রাশিয়া। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে। এর আগে এ দুটি অঞ্চল নিজেদের স্বাধীন প্রজাতন্ত্র হিসেবে ঘোষণা করে।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে ইউক্রেন থেকে স্বাধীন করার জন্য ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করেন। বর্তমানে লুহানস্ক প্রজাতন্ত্রকে সম্পূর্ণভাবে ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণ থেকে বের করে আনতে সক্ষম হয়েছে রুশ সেনারা।
গতকাল দোনেৎস্ক প্রজাতন্ত্রের নেতা ডেনিস পুশিলিন ঘোষণা করেন, ‘উত্তর কোরিয়া দোনেৎস্ককে স্বাধীন প্রজাতন্ত্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে দোনেৎস্ক প্রজাতন্ত্রের আন্তর্জাতিক মর্যাদা বাড়তে শুরু করল এবং এ ধারা অব্যাহত থাকবে। এটি দোনেৎস্কের জন্য আরেকটি কূটনৈতিক বিজয়।’
ডেনিস পুশিলিন আশা করেন, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে ফলপ্রসূ সহযোগিতা প্রতিষ্ঠা হবে এবং বাণিজ্য বাড়বে।
এদিকে, রুশ বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে—মস্কোয় অবস্থিত উত্তর কোরিয়ার দূতাবাস দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক প্রজাতন্ত্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এদিকে, ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে ‘সাময়িকভাবে রাশিয়ার দখলে থাকা’ এলাকা দুটি স্বাধীন হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায় উত্তর কোরিয়ার নিন্দা করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘(এর) প্রতিক্রিয়ায়... ইউক্রেন গণতান্ত্রিক গণপ্রজাতন্ত্রী কোরিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা করছে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে—ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বলেছেন, ‘আর্থিক ও রাজনৈতিকভাবে যে দেশগুলো রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল, সেসব দেশ ছাড়া বিশ্বে রাশিয়ার আর কোনো মিত্র নেই।’