পরী মণির বিরুদ্ধে নাসিরের মামলার আদেশ আজ
হত্যাচেষ্টা, মারধর, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে নায়িকা পরী মণির বিরুদ্ধে গত ৬ জুলাই আদালতে মামলার আবেদন করেন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ। বিচারক বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আজ সোমবার আদেশের জন্য রেখেছেন। তাই, আজ জানা যাবে মামলাটি আমলে নেওয়া হলো কি না।
গত ৬ জুলাই ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হাসানের আদালতে বোট ক্লাবের সভাপতি ব্যবসায়ী নাসির বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় পরী মণির দুই সহযোগীকেও আসামি করা হয়েছে। তাঁরা হলেন—ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি ও জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিম।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আনোয়ারুল কবির বাবুল এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, পরী মণি এবং তাঁর সহযোগীরা অ্যালকোহল সেবনে অভ্যস্ত। তাঁরা সুযোগ বুঝে বিভিন্ন নামিদামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করে না। পরী মণি তাঁর পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করিয়ে হয়রানির ভয় দেখান।
২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোট ক্লাবে ঢুকে এবং দ্বিতীয়তলার ওয়াশরুম ব্যবহার করেন। পরে তাঁরা ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন।
এতে আরও বলা হয়, বাদী ও তাঁর সহযোগী শাহ শহিদুল আলম রাত ১টা ১৫ মিনিটে যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন, তখন পরী
মণি উদ্দেশ্যমূলকভাবে নাসিরকে ডাক দেন। তাঁদের সঙ্গে কিছু সময় বসারও অনুরোধ করেন। একপর্যায়ে পরী মণি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নাসিরকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন এবং একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনামূল্যে পার্সেল দেওয়ার জন্য চাপ দেন। নাসির উদ্দিন এতে রাজি না হওয়ায় পরী মণি তাঁকে গালমন্দ করেন। নাসির এবং আসামিদের মধ্যে বাদানুবাদের একপর্যায়ে পরী মণি বাদীর দিকে একটি সারভিং গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনও ছুড়ে মারেন। এতে নাসির মাথায় এবং বুকে আঘাত পান।
বাদী মামলায় আরও উল্লেখ করেন, ‘পরী মণি ও তার সহযোগীরা তাঁকে মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়েছেন ও বোট ক্লাবে ভাঙচুর করেছেন। এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরী মণি সাভার থানায় বাদী নাসির উদ্দিনসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ তুলে মামলা করেন।’
এদিকে, ২০২১ সালের ১৪ জুন ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তাঁর বন্ধু অমির নাম উল্লেখ করে এবং চার জনকে অজ্ঞাত আসামি করে পরী মণি ঢাকার সাভার থানায় মামলা করেন।
ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নাসিরসহ তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।