আমাদেরকে রাজপথেই নামতে হবে : রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগ বুঝতে পেরেছে তাদের টিকে থাকার আর কোনো সম্ভাবনা নেই। তাই তারা আবোল-তাবোল বকছে। তাদেরকে হটাতে হলে আমাদেরকে রাজপথেই নামতে হবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে আওয়ামী লীগ নেতার শিষ্টাচার বহির্ভূত বক্তব্যের প্রতিবাদে আজ শনিবার নয়াপল্টন বিএনপির কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন রিজভী।
আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আপনারা গণতন্ত্র হত্যা করেছেন, নির্বাচনকে নিরুদ্দেশে পাঠিয়েছেন। বিরোধী দলশূন্য করার জন্য গুম খুন এর মতো কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। তারপরেও আপনাদের আতঙ্ক কাটে না।’
রিজভী আরও বলেন, ‘আপনারা বলেন, বিরোধী দল বিএনপি নেই। তারপরেও আপনাদের টার্গেট বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান কেন? মানুষ যতই অপরাধ ঢাকার চেষ্টা করুক না কেন, সব সময় আতঙ্কে থাকে—কখন তার অপরাধ ও কুকীর্তির জন্য, তার ওপর শাস্তি ধেয়ে আসে।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘জনগণ যখন রাস্তায় নামবে, আপনাদেরকে ধাওয়া করবে, তখন আপনার লোকরাই আগে পালাবে। তারা কেউ আপনার দিকে এগিয়ে আসবে না। জনগণের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে। কেউ শান্তিতে বসবাস করতে পারছে না। শান্তিতে বসবাস করতে পারবেও না, যতদিন শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতা ধরে আছে। চারদিকে আতঙ্ক বিরাজ করবে। কারণ, মানুষের কোনো মৌলিক অধিকার নেই। সমস্ত গণতান্ত্রিক অধিকারকে তারা বন্দি করে রেখেছে।’
রিজভী আরও বলেন, ‘ভোট নির্বাচন সবকিছুকে তারা কবরস্থ করেছে। এই পরিস্থিতি চলতে দেওয়া যায় না। তাই রাজপথেই আমাদেরকে নামতে হবে। রাজপথে নামলে আমাদেরকে বাধা দেবে, এমনকি গুলি করতে পারে। এই গুলিকে বরণ করে রাস্তায় দাঁড়ালে শেখ হাসিনা থাকবে না। কারণ, দেখবেন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী ও শেখ হাসিনার আপনজনরা আবোল-তাবোল বলা শুরু করেছে। তালগোল পাকিয়ে ফেলছে।’
‘প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজন বলেই প্রধান নির্বাচন কমিশন করা হয়েছে’ উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশন মন্ত্রীকে বলছে, স্যার। এই নিয়ে কত কথাবার্তা। তিনি আবার বলছেন, তরবারি ও রাইফেল নিয়ে রাস্তায় নামতে।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সুলতান আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, যুগ্ম সম্পাদক শাম্মী আক্তার, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিনা বেগম মিনি, ঢাকা মহানগর উত্তর মহিলা দলের সহসভাপতি নায়েবা ইউসুফ, দক্ষিণের সভাপতি রুমা আক্তার প্রমুখ।