জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ভবনেই ৭০০ টন এসি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নতুন একাডেমিক ভবনেই সচল প্রায় ৭০০ টন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র (এসি)। বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘নিয়ম না থাকলেও’ বিভাগের অফিস রুমও করা হয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। বেশ কয়েকটি শ্রেণিকক্ষেও আছে এসি। এতে অপচয় হচ্ছে বিদ্যুৎ। যদিও জবি প্রকৌশল দপ্তরের দাবি, তাদের অজান্তেই ঘটেছে এমন সব ঘটনা। আর প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল জানিয়েছেন, বিদুৎ সাশ্রয় নিয়ে আলোচনায় উপাচার্য ইতোমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছেন। অচিরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রকৌশল দপ্তর থেকে জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনসহ পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় এক হাজার টন এসি রয়েছে। বিভাগের অফিস রুমে এসি ব্যবহার করার কোনো নিয়ম নেই। বিভাগগুলো অফিসরুমে ইঞ্জিনিয়ারিং দপ্তরকে না জানিয়েই নিজেরাই এসি লাগিয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবনের ক্লাসরুমগুলোতে শিক্ষার্থীরা না থাকার পরও এসি, লাইট, ফ্যান চালু রয়েছে। এদিকে, প্রতি মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ বিল আসে প্রায় তিন থেকে চার লাখ টাকা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইঞ্জিনিয়ারিং দপ্তরের একাধিক প্রকৌশলী বলেন, ‘প্রতি রুমে এসি লাগানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই। বিভাগগুলো নিজেদের মতো এসি কিনে এনে নিজেরা মিস্ত্রি দিয়ে লাগিয়ে নেয়। পরে এসিতে সমস্যা হলে তখন ইঞ্জিনিয়ারিং দপ্তরে আসে।’
এ বিষয়ে প্রধান প্রকৌশলী মো. হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ‘সরকার যেহেতু বিদুৎ সাশ্রয়ের জন্য নির্দেশনা দিয়েছে, আমাদেরও সেটা মানা উচিত। উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে।’
সারা বিশ্বে জ্বালানি সংকটের প্রেক্ষিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক কাজী সাইফুদ্দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর উচিত হবে এসি ব্যবহার না করা।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘একটা মিটিংয়ে উপাচার্য স্যার কীভাবে বিদুৎ সাশ্রয় করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করেছেন। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।’