মাহমুদউল্লাহ-মুশফিক কি মাঠে নামবেন, বিসিবিকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে
মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিকুর রহিমকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে ‘বিশ্রাম’ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাঁদের বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে নাকি বাদ দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। বিসিবির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা গতকাল সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের জন্য মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করে। সেখানে দলের পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন জোর দিয়ে বলেছেন, এটা তো ব্যাটন। কাউকে না কাউকে তো ব্যাটন নিতেই হবে। তামিম, রিয়াদ, সাকিব, মুশফিক, মাশরাফী দলে নেই—তারা তো সারা জীবন খেলবে না।
তাই সব কিছু বিবেচনায় বোঝা যাচ্ছে, বাংলাদেশ ক্রিকেট নতুন যুগে প্রবেশ করেছে। বিসিবি টি-টোয়েন্টির জন্য মাহমুদউল্লাহ এবং মুশফিককে বিশ্রাম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, অন্যদিকে ব্যক্তিগত কারণে পুরো সফরে সাকিব আল হাসান নেই। তামিম ইকবাল সম্প্রতি টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে অবসর নিয়েছেন। মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা যে 'ফেবুলাস ফাইভ' গড়ে তুলেছিলেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে হারিয়ে যাচ্ছেন তারা। ফর্মের কারণে তাদের বিবেচনা করা হয়নি এটা নিশ্চিত। অবশ্য বিসিবি তাদের বিশ্রাম দেওয়ার কথাটি বলছে।
ক্রিকবাজের খবরে জানা গেছে, নুরুল হাসান সোহানকে জিম্বাবুয়ে সফরের অধিনায়ক করা হলেও স্থায়ীভাবে দায়িত্ব পাবেন কি না তা বিসিবি এখনও স্পষ্ট করেনি। মাহমুদউল্লাহকে বিশ্রাম দেওয়া হলে তিনি এখনও টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক হিসাবে আছেন।
বিসিবির পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘সোহানকে অধিনায়ক করা মনে মাহমুদউল্লাহ ও মুশশফিক ও সাকিবকে বাদ দেওয়ার ইঙ্গিত দেয় না। আমরা কয়েকজন খেলোয়াড়কে পরীক্ষা করতে চাই, দেখতে চাই তারা কেমন পারফরম্যান্স করে। কারণ আমরা সিনিয়রদের সামর্থ্য সম্পর্কে সচেতন। আমরা তরুণ খেলোয়াড়দের পুরো সিরিজ খেলার সুযোগ তৈরি করার চেষ্টা করছি।’
এদিকে এশিয়া কাপে সাকিব টি-টোয়েন্টিতে দলের নেতৃত্ব দেবেন বলে শোনা যাচ্ছে। সোহান তাঁর ডেপুটি হিসাবে কাজ করবেন। মাহমুদউল্লাহ এবং মুশফিকের বিষয়ে এখনো নিশ্চিত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তাঁরা কখন ফিরবেন এ ব্যাপারে পরিষ্কার করে কিছু বলেনি। তবে বিসিবি চায় নতুন যুগের সূচনা করতে। তাদের দুজনকে নেওয়া হবে কি না সেটাই এখন দেখার।