রেলক্রসিংয়ে দুর্ঘটনা : বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট
সারা দেশের রেলক্রসিংয়ে দুর্ঘটনাগুলোর বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন মহিউদ্দিন রনি। রিটে আপিল বিভাগের সাবেক একজন বিচারপতিকে প্রধান করে কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে রিটে চট্টগ্রাম ও গোপালগঞ্জে রেল দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার ও আহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তাপস কান্তি বল রেলের অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি রোধে আন্দোলন করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনির পক্ষে এ রিট দায়ের করেন। আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব ও রেল সচিবকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
আইনজীবী তাপস কান্তি বল বলেন, ‘আজ রিট দায়ের করার পর আবেদনটি হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে শুনানির জন্য উপস্থাপন করেছিলাম। বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়ার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ রিট আবেদনটি শুনতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন। এখন হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চে রিট আবেদনটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করব।’
সেভ দ্য রোড নামে একটি সংগঠনের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সাত মাসে দেশের বিভিন্ন স্থানে রেলপথে ছোট-বড় এক হাজার ৫২টি দুর্ঘটনায় ১৭৮ জন নিহত হয়েছেন। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন এক হাজার ১৭০ জন। এসব প্রাণহানির মধ্যে চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার খৈয়াছড়ায় রেলপথে দুর্ঘটনায় নিহত ১১ জনও রয়েছেন।
গত শুক্রবার চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝরনা এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ১১ যাত্রী নিহত হন। ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় গেটম্যান সাদ্দাম হোসেনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে রেলওয়ে।
প্রতিবেদনে রেলপথের এসব দুর্ঘটনার বেশিরভাগই গেটকিপারদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।