১৮ দিন পর কিশোরের কঙ্কাল উদ্ধার
দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় নিখোঁজের ১৮ দিন পর পাহাড়ের গর্ত থেকে মোহাম্মদ বেলাল (১৩) নামে এক কিশোরের কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলার পুরানগড় ইউনিয়নের পাহাড়ি এলাকা থেকে তার কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেক মোহাম্মদ আবদুল হান্নান ও পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ১৭ জুলাই রাত ৯টায় নিখোঁজ হয় মোহাম্মদ বেলাল। সে পুরানগড় ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার উঁচুর বিল গ্রামের মুন্সি মিয়ার ছেলে। ছেলে হত্যার অভিযোগ এনে ছয়জনের বিরুদ্ধে আজ শুক্রবার ভোরে সাতকানিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন মুন্সি মিয়া।
মুন্সি মিয়া থানায় করা মামলায় উল্লেখ করেন, ১৭ জুলাই রাত ৯টা হতে বেলাল নিখোঁজ হয়। পরের দিন সকালে একই এলাকার মো. লেদু মিয়ার ছেলে নিখোঁজ বেলালের বন্ধু মো. রিয়াদ জানায়, ১৭ জুলাই রাত আনুমানিক ৯টায় বেলালকে পুরানগড় ইউনিয়নের প্রস্তাবিত সাঙ্গু কলেজের মাঠে আড়াষ্য (লম্বা পানি) নামক স্থানে লুডু খেলার সময় স্থানীয় মুহাম্মদ হাসান, মুহাম্মদ তাহেদ, মোহাম্মদ মনজুর, মোহাম্মদ আবছার, মোহাম্মদ সাকিব ও মোহাম্মদ মানিক ডেকে নিয়ে যায় । নিয়ে যাওয়ার সময় বেলালকে মারধরও করা হয়।
এসময় বেলালের সঙ্গীরা বাধা দিলে তাদের মারধর করার হুমকি দিলে তারা সেখান থেকে চলে আসে। সেই থেকে নিখোঁজ হয় বেলাল।
পরে গত ৪ আগস্ট বিকেল আনুমানিক ৪টার সময় পুরানগড় ইউনিয়নের ধনির গোপাট এলাকার আবু তাহের পাহাড়ে খুঁটি কাটার জন্য গেলে সেখানে মানুষের কিছু হাড় ও মাথার খুলি দেখতে পেয়ে বিষয়টি স্থানীয় লোকদের জানান। খবর পেয়ে মুন্সি মিয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে গর্তের মধ্যে বেলালের পরিহিত শার্ট দেখে হাড়গোড় ও কঙ্কালটি বেলালের বলে শনাক্ত করেন।
পরে ঘটনাস্থলে সাতকানিয়া থানা পুলিশ গিয়ে কঙ্কাল উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
নিহত বেলালের বাবা মুন্সি মিয়া বলেন, ‘পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমার ছেলেকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। আশা করছি, পুলিশ হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করবে।’
এ বিষয়ে সাতকানিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এই বিষয়ে সাতকানিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’