যেসব খাবারে রক্তস্বল্পতা দূর হয়
রক্তস্বল্পতা আমাদের দেশের নারীদের একটি কমন সমস্যা। সাধারণত টিনএজ বয়সে কিংবা যখন প্রেগন্যান্সি থাকে, কনসিভ করার পরের সময়ে প্রসূতি মায়েদের রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। নারীর যে কোনও বয়সেই রক্তস্বল্পতা দেখা দিতে পারে। আজ আমরা একজন পুষ্টিবিদের কাছ থেকে রক্তস্বল্পতা দূরীকরণে খাবারের ভূমিকা সম্পর্কে জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে রক্তস্বল্পতা দূরীকরণে খাবারের ভূমিকা সম্পর্কে বলেছেন পুষ্টিবিদ উম্মে সালমা তামান্না।
পুষ্টিবিদ উম্মে সালমা তামান্না বলেন, রক্তস্বল্পতা দূর করতে চাইলে আমাদের প্রথম যে বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে, সেটা হলো রক্তস্বল্পতা আয়রন ডেফিসিয়েন্সির কারণে হয়েছে কি না। যদি আয়রন ডেফিসিয়েন্সির কারণে হয়, তাহলে অবশ্যই আয়রন-জাতীয় খাবার, ভিটামিন বি১২ এবং ফলিক অ্যাসিড-জাতীয় খাবার খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে। আয়রন-জাতীয় খাবার আসলে কী। আয়রন-জাতীয় খাবারের মধ্যে প্রথমেই যেগুলো পড়ে, গরুর মাংস ও কলিজা। এটা আমরা অনেকেই জানি না। আমরা অনেকেই ভাবি, ওজন যেহেতু বেশি বা অনেক কারণে গরুর মাংস কম খাই, কিংবা কলিজাও কম খাওয়া হয়। কিন্তু যাঁদের রক্তস্বল্পতা রয়েছে, তাঁরা চাইলে গরুর মাংস বা কলিজা, যেটাকে আমরা হিম আয়রন বলি, এটা খেয়ে খুব সহজে আপনার রক্তস্বল্পতা দূর করতে পারবেন। যদি আপনার শারীরিক অন্য সমস্যা না থাকে, তাহলে আপনি টানা ১০ থেকে ১৫ দিন ৮৫ গ্রাম করে গরুর মাংস বা কলিজা কম তেল ও মসলা দিয়ে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে রান্না করে খান, দেখবেন খুব সহজেই রক্তস্বল্পতা কাটিয়ে উঠতে পারবেন। খুব দ্রুত আপনার হিমোগ্লোবিন লেভেলটা বেড়ে যাবে।
উম্মে সালমা তামান্না বলেন, যাঁদের হিমোগ্লোবিন লেভেল ৭, ৮,৯; অনেকের এত কম থাকে যে তখন আমরা তাঁদের বলি, আপনি ১৫ থেকে ২০ দিন গরুর কলিজা ও মাংস অবশ্যই রাখবেন। এর পাশাপাশি অন্য অনেক খাবার রয়েছে। সামুদ্রিক মাছ রয়েছে বা তৈলাক্ত মাছ, এগুলোতেও কিন্তু আয়রন থাকে। পাশাপাশি ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন বি১২-জাতীয় খাবার, যেমন সবুজ শাক, সবুজ সবজি, ব্রকলি, পালং শাক; এ জাতীয় খাবার রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করবে এবং আয়রন লেভেল বাড়াতে সাহায্য করবে।
রক্তস্বল্পতা দূরীকরণে করণীয় সম্পর্কে জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি ক্লিক করুন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনটিভি হেলথ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং জানুন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ।