নোয়াখালীতে ধসে পড়ল নির্মাণাধীন বিদ্যালয়ের ছাদ
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় একটি বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন সিঁড়িকক্ষের ছাদ ধসে পড়েছে। সিঁড়িতেও দেখা দিয়েছে ফাটল। বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় এ ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে, ক্লাস শুরুর পর নবনির্মিত দ্বিতীয় তলা নিয়ে আতঙ্কে আছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের সৌদিয়া বাজার নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গতকাল সোমবার এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, কয়েক মাস আগে জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে বিদ্যালয় ভবনের দ্বিতীয় তলার নির্মাণকাজ শুরু হয়। হাবিব এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান কাজের ঠিকাদারি পায়। প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মো. মুকুল নামের এক ব্যক্তি নির্মাণ কাজটির সাব-ঠিকাদারি নেন।
১৭ দিন আগে দ্বিতীয় তলার মূল ভবনের কাজ শেষ করে সিঁড়িকক্ষের ছাদের ঢালাই দেওয়া হয়।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, ছাদের ঢালাইয়ে নামমাত্র রড ব্যবহার করা হয়েছে। ছাদে প্রতিটি রডের দূরত্ব রাখা হয়েছে এক ফুটের বেশি। এ ছাড়া অত্যন্ত নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। তদারকি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ঠিকাদারের লোকজন নিজেদের ইচ্ছেমতো কাজ করেছেন। এ অবস্থায় ভবনের দ্বিতীয় তলা কখন ভেঙে পড়ে—এমন আশঙ্কায় আছেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা।
স্থানীয়রা আরও বলছেন, কয়েক দিন আগে ভবনের দ্বিতীয় তলায় ওঠার সিঁড়ির বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দেয়। বিষয়টি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিকে জানালেও তাঁরা আমলে নেননি। সর্বশেষ নির্মাণের ১৭ দিনের মাথায় ভেঙে পড়ে সিঁড়ির কক্ষের ছাদ।
কবিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতিমা সুলতানা জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন তিনি। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ঢালাই দেওয়ার কারণে ছাদটি ভেঙে পড়েছে বলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেছেন।
নোয়াখালী শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী দীপঙ্কর খীসা এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।