বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে কোনোভাবেই হত্যা করা যাবে না : নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু এমন একটি আদর্শ, তাঁকে কোনোভাবেই হত্যা করা যাবে না। বঙ্গবন্ধু মারা যায়নি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। তাঁর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থাকলে দেশ সবল থাকবে; নতুবা দুর্বল হয়ে পড়বে। বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ শোধ করতে পারব না। স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের মাধ্যমে তাঁর প্রতি সম্মান জানাতে পারব।
প্রতিমন্ত্রী মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের ৭ মার্চ অডিটরিয়ামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ সকল শহীদ স্মরণে ‘শোক থেকে শক্তির অভ্যুদয়- স্বপ্নপূরণের দৃঢ় প্রত্যয়’শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রোকেয়া হল শাখা ছাত্রলীগ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে কেউ ভাবতে পারেনি। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ ভেবেছিল বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না। তারা বাংলাদেশের দিকে না তাকানোর কথা বলেছিল। বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে দাঁড় করাতে পেরেছিলেন। সে সময় প্রবৃদ্ধি ছিল প্রায় ৯.৬ ভাগ। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলার মানুষ সঠিক ধারায় ফিরেছিল।
তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা জানত- শেখ মুজিবকে হত্যা না করলে বাংলাদেশকে দাবিয়ে রাখা যাবে না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা একটি পারিবারিক হত্যাকাণ্ড নয়; এটা বাংলাদেশকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সবকিছু পরিবর্তন করা হয়। জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়ারা এসব কাজ করে। বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এখন দাঁড়িয়ে গেছে-এটা আমাদের বিজয়।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, মানবাধিকার নেতৃবৃন্দ মানবাধিকার নিয়ে এখন অনেক কথা বলছেন। কিন্তু তারা কি কখনো শিশু রাসেল হত্যা, গর্ভবতী মাকে হত্যার প্রতিবাদ করেছেন? কোথাও কথা বলেছেন? ১৫ আগস্ট মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে-সে বিষয়ে কোথায় বলেছেন?
রোকেয়া হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকা বিনতে হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সদস্য মারুফা আক্তার পপি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস এবং সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন।
রোকেয়া হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অন্তরা দাস পৃথা অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ ১৫ আগস্টের সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের লক্ষ্যে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
পরে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রোকেয়া হল শাখা ছাত্রলীগ আয়োজিত ‘মহাকালের মহানায়ক’ শীর্ষক আবৃত্তি প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। রোকেয়া হলের শিক্ষার্থী সীমা মণ্ডল কর্তৃক অঙ্কিত বঙ্গবন্ধুর ছবি উন্মোচন করা হয়।