জাবির ভর্তি পরীক্ষায় ৩ লাখে প্রক্সি, ভাইভায় এসে ধরা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ভর্তির সাক্ষাৎকার দিতে এসে প্রক্সি জালিয়াতির অভিযোগে এক পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। আটক শিক্ষার্থীর নাম সৈয়দ আব্দুস সামি। সামির বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া।
সোমবার (২২ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সাক্ষাৎকার দিতে এসে আটক হন সামি। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রক্সির বিষয়টি স্বীকার করেন তিনি। তার পরিবর্তে প্রক্সি দেয় বুয়েট পড়ুয়া মাহফুজ নামের এক শিক্ষার্থী।
সামি বলেন, ‘জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী শাকিলের সঙ্গে প্রক্সির বিষয়ে কথা হয়। শাকিল পরে বুয়েটের মাহফুজকে দিয়ে প্রক্সি দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। বিনিময়ে শাকিলের মাধ্যমে ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা চুক্তি হয়।’
তিনি আরও বলেন, ভর্তি পরীক্ষার আগে ২ লাখ ৫ হাজার টাকা তাকে দেওয়া হয়। ভাইভা শেষে বাকি ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা মাহফুজকে দেওয়া হবে বলে ঐ টাকা শাকিল জমা নেন।’
মাহফুজ নিজে পরীক্ষা দিয়েছে কি না জানতে চাইলে সামি বলেন, ‘আমার পরীক্ষার আসন সমাজবিজ্ঞান অনুষদের গ্যালারিতে পড়েছিল। আমি পরীক্ষা দেইনি। তবে মাহফুজ নিজে পরীক্ষা দিয়েছে কিনা সেটা নিশ্চিত জানি না। মেধাতালিকায় আমার ১১৬তম স্থান আসে। মাহফুজ ভাইয়ের অধীনে আরও তিন-চারজন এরকম চুক্তি করেছে বলে জানি। এ বিষয়ে সব ধরনের ঝুঁকি শাকিল বহন করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।’
এ বিষয়ে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক আকবর হোসেন বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থীর হাতের লেখার সঙ্গে তার ভর্তি পরীক্ষার খাতার (ওএমআর) লেখার মিল না পাওয়া গেলে প্রক্সি দেওয়া হয়েছে সন্দেহে তাকে প্রক্টরিয়াল বডির কাছে হস্তান্তর করা হয়।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহিন বলেন, ‘প্রথমে প্রক্সির কথা অস্বীকার করলেও পরে সামি তা স্বীকার করে। তার মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। ফোনে জালিয়াতি চক্রের কয়েকজনের সংশ্লিষ্টতার তথ্যও পাওয়া গেছে। পরে তাকে আশুলিয়া থানায় সোপর্দ করা হয়।