মুন্সীগঞ্জে প্রবাসীকে কুপিয়ে জখম
মুন্সীগঞ্জের সদর উপজেলার চরকেওয়ার ইউনিয়নের ছোট মোল্লাকান্দি গ্রামে ঘরে ঢুকে প্রবাসী বাবুল গাজীকে (৩২) কুপিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষ। ঘটনাটি ঘটেছে আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহত বাবুল গাজী বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলাম, ছয় মাস ধরে দেশে এসেছি। আমি গ্রামে থাকতাম না। আজ সকালে গ্রামে আসছিলাম। আমার ভিসা হয়েছে আবার চলে যাব। বিদেশে চলে যাব বলে ঘর বিক্রি করেছিলাম। ঘরের ভেতর বৈদ্যুতিক তার খোলার জন্য মই উপরে থাকা অবস্থায় খাসকান্দি গ্রামের মামুন হাওলাদারের লোক মাসুদ ও বাঁধনসহ ৮ থেকে ১০ জন লোক আমার ঘরে হামলা চালায়। মাসুদ ও বাঁধন আমাকে দেশীয় অস্ত্র দিকে কুপিয়েছে।’
বাবুলের স্ত্রী মিতু আক্তার (২৫) বলেন, ‘আমার স্বামী গ্রামে থাকতেন না। ওর সাইপ্রাসের ভিসা আসছে। আজ বিকেল ৪টার দিকে মামুন হাওলাদারের লোক মাসুদ, বাঁধনসহ কয়েকজন ঘরে ঢুকে আমার স্বামীকে কুপায়।’
বাবুলের ভাবি সখিনা বেগম বলেন, সৈয়দ খাদের লোক মাসুদ ও বাঁধনরা আমার দেবর বাবুলের ঘরে গিয়ে কুপিয়েছে। আমরা বাবুলের হাসপাতালে নিয়ে আসার সময় মাসুদ আমাদের সিএনজিচালিত অটোরিকশা অনেকক্ষণ আটকে রাখে। আমাদের গ্রামে কোনো পুরুষ মানুষ নেই।’
মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শৈবাল বসাক জানান, দেশীয় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত এক রোগী আমাদের এখানে আসে। তার হাত ও পায়ের একাধিক ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। হাত ও পায়ের রগ কাটা ছিল এবং পায়ের হাড় ভেঙে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মামুন হাওলাদার বলেন, আমার কোনো লোক নেই। যেখানে ঘটনা ঘটেছে, এটা ছোট মোল্লাকান্দি। আমার বাড়ি খাসকান্দি। যে ঘটনাটি ঘটেছে এটা অনেক নিন্দনীয়।
যারা বলছে আমার লোক, আসলে তাদের আমরা চিনি না। প্রকৃত বিচার হওয়া দরকার। যারা দোষী তাদের আইনের আওতায় আনা হোক। আর যারা জড়িত না তাদের কোনোভাবে যেন হয়রানি করা না হয়।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিকুজ্জামান বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনস্থলে পুলিশ গেছে। শুনেছি দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব।’