গোপালগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪
গোপালগঞ্জের ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের সদর উপজেলার মেরী গোপীনাথপুর নামক স্থানে মাছবাহী পিকআপ উল্টে এক যু্বকসহ তিনজন এবং একই সড়কের সোনাকুড় নামক স্থানে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় এক পথচারী নারী নিহত হয়েছেন।
আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মেরি গোপীনাথপুর হাসপাতালের সামনে ঢাকাগামী মাছবাহী পিকআপের সঙ্গে মোটরসাইকেল-ট্রাক-ইজিবাইকের সংঘর্ষ হয়।
এতে ঘটনাস্থলে সৈয়দ বেপারী (৩৩) নামে এক ফেরিওয়ালা নিহত হন। এ সময় রাস্তার পাশে মোটরসাইকেলে থাকা ফরহাদ শেখ (৩২) ও রনি খানসহ (৩০) অন্যান্য যানবাহনে থাকা পাঁচজনআহত হন। সংকটজনক অবস্থায় ফরহাদ ও রনিকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফরহাদকে মৃত ঘোষণা করেন এবং রনিকে উন্নত চিকিসার জন্য খুলনায় পাঠানো হয়। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে খুলনায় নেওয়ার পথে রনি খানের মৃত্যু হয়।
ভাটিয়াপাড়া হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক আবু নাইম মো. তোফাজ্জেল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত ফরহাদ শেখ সদর উপজেলার শুকতাইল গ্রামের কুঠিবাড়ী এলাকার হাজি আকরাম আলী শেখের ছেলে এবং নিহত সৈয়দ বেপারী মাদারীপুর জেলার কালকিনি পৌরসভার মৃত মালেক বেপারীর ছেলে। দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িগুলো রাস্তায় পড়ে থাকায় সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। এ কারণে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসেকর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে গাড়িগুলো সরিয়ে নেন। বিকেল ৪টা থেকে ওই সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এদিকে সকাল ৯টায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের সদর উপজেলার সোনাকুড় নামক স্থানে একটি মোটরসাইকেল পথচারী রুবি বেগমকে (৬০) ধাক্কা দিলে তিনি মারাত্মক আহত হন। পরে তাকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তির পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ২টার দিকে তিনি মারা যান।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গোপালগঞ্জ সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মারিদুল ইসলাম জানান, নিহত রুবি বেগম সদর উপজেলার সোনাকুড় গ্রামের মৃত মোশাক শিকদারের স্ত্রী। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই সন্ধ্যায় তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।