রাজধানীতে লরিচাপায় কনস্টেবল ও কাউন্টারকর্মী নিহত
রাজধানীর উত্তরায় লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান ট্রাফিক কনস্টেবল কাজী মাসুদ (৩৮)। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন একটি পরিবহণের কাউন্টারকর্মী জাহাঙ্গীর আলম (২৬)। শেষ অবধি তিনিও মারা গেছেন।
আজ রোববার ভোরে আব্দুল্লাহপুর মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন উত্তরা পশ্চিম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ইয়াসিন গাজী।
মো. ইয়াসিন গাজী বলেন, ‘এ দুর্ঘটনায় কাজী মাসুদের স্ত্রী রিমি সুলতানা সড়ক পরিবহণ আইনে একটি মামলা করেছেন। মামলায় লরিটির চালক আব্দুল আল আজাদকে (২৩) আসামি করা হয়েছে।’
মো. ইয়াসিন গাজী আরও বলেন, ‘ঘটনাস্থলে নিহত পুলিশ কনস্টেবল কাজী মাসুদ ট্রাফিক উত্তরা বিভাগে কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটের কচুয়ায়। এ ছাড়া নিহত পথচারীর নাম জাহাঙ্গীর আলম। তিনি একটি পরিবহণের কাউন্টার মাস্টার ছিলেন। তবে, কোন পরিবহণ, তা এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি আমরা।’
ইয়াসিন গাজী বলেন, ‘উত্তরা পশ্চিম থানার আব্দুল্লাহপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের তাসিন পাম্পের পূর্ব পাশে দায়িত্ব পালন করছিলেন কাজী মাসুদ। এ সময় পেছন থেকে একটি লরি তাকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি সড়কে ছিটকে পড়েন। পরে ওই লরির চাকার পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি। পরে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আর জাহাঙ্গীর আলম লেকভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকালে মারা যান।’
মো. ইয়াসিন গাজী আরও বলেন, ‘মরদেহটি উদ্ধার করে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
মামলার এজাহারে রিমি সুলতানা জানান, তাঁর স্বামী কাজী মাসুদ শনিবার দিনগত রাতে আব্দুল্লাহপুর মোড়ে ট্রাফিক ডিউটি পালন করছিলেন। হঠাৎ একটি লরি বেপরোয়া গতিতে এসে কাজী মাসুদ ও আব্দুল্লাহপুর বাস কাউন্টারে কর্মচারী জাহাঙ্গীর আলমকে আঘাত করে। পরে তারা দুজনই লরিচাপায় পিষ্ট হয়। লরিচালক আব্দুল আল আজাদ (২৩) গাড়ি রেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। লরিটি পুলিশ জব্দ করেছে।