ক্রিকেটার আল-আমিনের বিরুদ্ধে পারিবারিক সহিংসতার মামলা
একসাথে বসবাসের অধিকার, মাসিক ভরণপোষণ ও সন্তানদের খরচ দাবি করে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার আল-আমিন হোসেনের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মামলা করা হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালতে আল-আমিনের স্ত্রী ইসরাত জাহান মামলাটি দায়ের করেন।
এ বিষয়ে আদালতের বেঞ্চ সহকারী (পেশকার) গৌতম চন্দ্র দাস বলেন, আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে মামলাটি আমলে গ্রহণ করে আল-আমিনকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেছেন। আগামি ২৭ সেপ্টেম্বর মামলাটির তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
নথি থেকে জানা গেছে, ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক ইসরাত জাহান ও আল-আমিন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বড় ছেলে মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজে ইংরেজি ভার্সনে কেজিতে পড়ালেখা করছে। বেশ কিছুদিন যাবৎ আল-আমিন তার স্ত্রী ও সন্তানদের ভরণপোষণ প্রদান করেন না এবং খোঁজ না নিয়ে এড়িয়ে চলছেন। যোগাযোগও করেন না।
আরও বলা হয়, গত ২৫ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে আল আমিন বাসায় এসে স্ত্রীর কাছে যৌতুকের জন্য ২০ লাখ টাকা দাবি করেন। ইসরাত জাহান টাকা দিতে অস্বীকার করলে আল-আমিন তাকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষিসহ লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। সংসার করবে না বলে জানায়। ইসরাত জাহান ৯৯৯-এ টেলিফোন করে সাহায্য চাইলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন ইসরাত জাহান। এ ঘটনায় ১ সেপ্টেম্বর মিরপুর মডেল থানায় মামলাও হয়। সর্বশেষ গত ৩ সেপ্টেম্বর আল-আমিন তার মায়ের মাধ্যমে জানান, ইসরাতের সাথে সংসার করবে না এবং সন্তানদের ভরণপোষণ দিবেন না। প্রয়োজনে বাসা থেকে বের করে স্ত্রীকে তালাক দিবেন। পরকীয়ায় আসক্তের কারণে এ কাজ করেছে এবং একজন নারীর সাথে উঠানো ছবি ইসরাতের কাছে পাঠায়।
মামলায় বলা হয়, আল-আমিন স্ত্রী-সন্তানদের বাসা থেকে বের করে অন্যত্র বিয়ে করবেন বলে জানান। দুই বছর যাবৎ আসামি বাদীর খোঁজখবর নেয় না এবং বাসায় নিয়মিত থাকে না। যার কারণে ইসরাত তার দুই সন্তানসহ বসতবাড়িতে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করার অধিকারসহ মাসিক ভরণপোষণ দাবি করে মামলাটি দায়ের করলেন। জীবন ধারণের জন্য ৪০ হাজার, দুই সন্তানের ভরণপোষণ ও ইংলিশ মিডিয়ামে লেখাপড়াবাবদ ৬০ হাজার টাকা আল-আমিনের কাছে পাওয়ার হকদার বলে মামলায় বলা হয়।