সৈয়দ আমিরুল ইসলাম অত্যন্ত সাহসী ও ভাল বিচারক ছিলেন : প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলাম অত্যন্ত সাহসী ও অত্যন্ত ভালো বিচারক ছিলেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের ইনার গার্ডেনে বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলামের জানাজার আগে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলাম অত্যন্ত সাহসী ও অত্যন্ত ভালো বিচারক ছিলেন। তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন তখনই হবে, যখন আমরা তাকে অনুসরণ করতে পারব। আমার কাছে মনে হয়, তিনি যে জাজমেন্টগুলো দিয়েছেন, সেগুলো আমাদের আলোকিত করবে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ.ম রেজাউল করিম বলেন, বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলাম প্রগতিশীল চেতনার মানুষ ছিলেন। তিনি যা বিশ্বাস করতেন, তা করে দেখাতেন। অসংখ্য আলোচিত রায়ের মাধ্যমে তিনি আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন।
৮ সেপ্টেম্বর দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে সুপ্রিম কোর্টের ইনার গার্ডেনে বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলামের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন সুপ্রিম কোর্ট বার মসজিদের খতিব মুফতি আবু জাফর।
জানাজায় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. রুহুল আমিন, সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি মোজাম্মেল হক, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ. ম রেজাউল করিম, আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট বার সভাপতি মোমতাজ উদ্দিন ফকির, সম্পাদক আব্দুন নূর দুলালসহ বিপুল সংখ্যক আইনজীবী অংশ নেন।
জানাজা শেষে বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলামের মরদেহে প্রধান বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেলসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে তার মরদেহ দাফনের উদ্দেশে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে গতকাল (৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে মারা যান সৈয়দ আমিরুল ইসলাম। বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলাম ১৯৪০ সালের ১৩ জানুয়ারি কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এম এ ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর ১৯৬৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাচেলর অব ল ডিগ্রি অর্জন করেন।
তিনি পরে ১৯৬৫ সালে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ১৯৭২ সালে সৈয়দ আমিরুল ইসলাম লন্ডনের ‘লিং কনস ইন’ থেকে বার এট ল ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯৯৪ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি সৈয়দ আমিরুল ইসলাম সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। ১৯৯৬ সালে তিনি হাইকোর্ট বিভাগে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। ২০০৭ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকের পদ থেকে অবসরে যান।