নগরকান্দায় সাজেদা চৌধুরীর জানাজায় সর্বস্তরের মানুষের ঢল
ফরিদপুরের নগরকান্দায় এমএন একাডেমী প্রাঙ্গণে সোমবার সকাল ১১টা ১৩ মিনিটে ফরিদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর জানাজা হয়েছে। ফরিদপুরের বিভিন্ন প্রান্ত হতে দলমত নির্বিশেষে নানা শ্রেণিপেশার হাজার হাজার মানুষ জানাজায় অংশ নেয়।
এর আগে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মরদেহ সোমবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে নগরকান্দায় এসে পৌঁছে।
জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এসএম কামাল ও সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর ছোট ছেলে শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী। এ সময় ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. শাহ্জাহান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক, সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ আরিফসহ জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ ও সরকারি কর্মকর্তাসহ হাজারো মানুষ জানাজায় অংশ নেয়।
জানাযা ও শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাজেদা চৌধুরীর মরদেহ নিয়ে নেতারা ও পরিবারের সদস্যরা ঢাকার পথে রওনা হন।
সোমবার বিকেল ৩টায় ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তাঁর মরদেহ রাখা হবে। এরপর বাদ আসর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে আরেকটি জানাজা হবে। পরে বনানী কবরস্থানে তাঁকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হবে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানান দলের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
মরহুমার সহকারী একান্ত সচিব মো. শফি উদ্দিন জানান, সোমবার সকালে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজার পরিবর্তে তাঁর নিজ সংসদীয় এলাকা ফরিদপুরের নগরকান্দার এম এন একাডেমি মাঠে হয়।
গতকাল রোববার রাত ১১টা ৪০ মিনিটে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। উচ্চরক্তচাপসহ বার্ধক্যজনিত সমস্যা নিয়ে কিছুদিন আগে সিএমএইচে ভর্তি হন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।