বার্সার সব চেষ্টা চার মিনিটেই শেষ
প্রতিপক্ষ বায়ার্ন মিউনিখ। উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে বার্সেলোনার বিপক্ষে ম্যাচটি নিয়ে সবার আগ্রহ ছিল বেশি। লড়াইটা হবে ভালো এমনটা আশা ছিল দর্শকদের। হলও তাই। কিন্তু মাত্র চার মিনিটে সব হিসেব পাল্টে যায়। বায়ার্ন মিউনিখ ২-০ গোলে জয়ের উল্লাস করে।
ম্যাচে দুটি গোলই হয়েছে মাত্র চার মিনিটের ব্যবধানে। বার্সেলোনা অনেকগুলো সুযোগ নষ্ট করেছে। সাবেক ক্লাবের বিরুদ্ধে বার্সার নতুন তারকা রবার্ট লেভান্দোস্কির হতাশাজনক পারফরম্যান্স ছিল চোখে পড়ার মতো।
প্রথমার্ধে অনবদ্য ফুটবল খেলেও দ্বিতীয়ার্ধে পরপর দুই গোল হজম করে বার্সেলানা। বায়ার্নের হয়ে ম্যাচের ৫০ ও ৫৪ মিনিটে গোল করেন লুকাস হার্নান্ডেজ এবং লেরয় সানে।
ম্যাচের পরিসংখ্যান অনুয়ায়ী বায়ার্ন মিউনিখ শট নিয়েছে মাত্র ১৩টি। বার্সেলোনা ১৮। এর মধ্যে গোলমুখে দুদলেরই ৪টি করে শট। বায়ার্ন দুটি গোলে পরিণত করেছে, বার্সা পারেনি।
বল পজিশনের ক্ষেত্রে বায়ার্নের তুলনায় এগিয়ে ছিল বার্সেলোনা। জার্মান ক্লাবটি ৪৬% এবং স্পেনের জায়ান্টরা ছিল ৫৪% বল দখলে।
বার্সেলোনা বরাবরই পাসিং ফুটবল খেলে থাকে। এই ম্যাচেও তারা পাস দিয়েছে ৫৩৮টি। আর বায়ার্ন দিয়েছে ৪৭৫টি পাস। নিখুঁত পাসের ক্ষেত্রেও এগিয়ে বার্সেলোনা ৮৫%। বায়ার্ন সেখানে ৮২%। পরিসংখ্যান, বল পজেশন, নিখুঁত পাস, সুযোগ তৈরি, সবই ছিল, কিন্তু বার্সা গোল পায়নি। বার্সেলোনার সেটাই কাল হলো। অনেক সুযোগ পেয়েও দুই গোলে হার।
চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বে অপরাজিত থাকার দৌড় এগিয়ে বায়ার্ন মিউনিখ। গ্রুপ পর্বে ৩৫ ম্যাচ অপরাজিত তারা। গত মৌসুমেও গ্রুপ পর্বে মুখোমুখি হয়েছে এই দুই দল। গতবার বায়ার্নের জার্সিতে খেলেছেন রবার্ট লেভান্দোস্কি। এই মৌসুমে বার্সেলোনায় সই করেছেন পোল্যান্ডের এই তারকা স্ট্রাইকার। প্রথম দেখায় সাবেক ক্লাবের বিরুদ্ধে হতাশা ছাড়া কিছুই করতে পারেনি। ম্যাচ শুরুর ২০ মিনিটের মধ্যেই দুটি সুযোগ নষ্ট করেন লেভান্দোস্কি। বিরতির আগেই ১০টি গোলের সুযোগ পেয়েছিল তারা। এক ঝাঁক সুযোগ মাশুল দিল তারা।
ম্যাচের ৫০ মিনিটে বার্সার জালে প্রথম বল পাঠান লুকাস হার্নান্ডেজ। এক গোলের পর গুছিয়ে ওঠার আগেই ৫৪ মিনিটে বায়ার্নের হয়ে দ্বিতীয় গোল করেন লেরয় সানের।
এই ম্যাচ জিতে ‘সি’ গ্রুপে শীর্ষে বায়ার্ন মিউনিখ। ৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে বার্সেলোনা।