জামিন চেয়ে আদালতে কান্নায় ভেঙে পড়েন পার্থ
দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গতকাল বুধবার একটি মামলার শুনানিতে আদালতকে কেঁদে কেঁদে পার্থ বলেন, ‘জামিন দিন, আমাকে বাঁচতে দিন।’
তবে পার্থর এ অনুনয় মঞ্জুর হয়নি। তাকে আবারও ১৪ দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১৪ দিনের জেল হেফাজত শেষেই তাকে গতকাল অনলাইনের মাধ্যমে আদালতে হাজির করানো হয়।
ভার্চুয়ালি হাজির করানো হয় পার্থের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও। পার্থের জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবী। শুনানি চলাকালীন নিজের জামিনের প্রসঙ্গ উঠতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন প্রাক্তন এই মন্ত্রী। খবর ইন্ডিয়া টিভির।
এ সময় পার্থ বলেন, ‘আমি জনসমক্ষে আমার ভাবমূর্তি নিয়ে খুব চিন্তিত। আমি অর্থনীতির ছাত্র ছিলাম। মন্ত্রী হওয়ার আগে বিরোধীদলীয় নেতা ছিলাম।’
‘আমি রাজনীতির শিকার। অনুগ্রহ করে ইডি’কে আমার বাড়ি এবং আমার বিধানসভা কেন্দ্র পরিদর্শন করতে বলুন। আমি একজন এলএলবি এবং ব্রিটিশ বৃত্তি প্রাপ্ত। আমার মেয়ে যুক্তরাজ্যে থাকে। আমি কিভাবে এ ধরনের কেলেঙ্কারীতে নিজেকে জড়িত করতে পারি? বিচারের আগে আমাকে চিকিৎসা দেওয়া উচিত,’ বলেন পার্থ।
‘আমি শান্তিতে বাঁচতে চাই। দয়া করে আমাকে বাঁচতে দিন। যে কোনো শর্তে আমাকে জামিন দিন,’ যোগ করেন পার্থ।
দুর্নীতির অভিযোগে গত ২৩ জুলাই গ্রেপ্তার হন পার্থ। বুধবার শুনানিতে বিচারক পার্থকে কিছু বলার অনুমতি দিলে নিজের রাজনৈতিক জীবনের প্রসঙ্গ টেনে আনেন পার্থ। বিচারককে তিনি জানান, তাকে তিন বেলা ওষুধ খেতে হয়। নিয়মিত চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে তার। তদন্তকারীরা তার বাড়িতে ৩০ ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়েও কিছু উদ্ধার করতে পারেননি। তার পরেও কেন তিনি জামিন পাচ্ছেন না, সেই প্রশ্নই তুলতে দেখা যায় পার্থকে। তিনি আরও বলেন, জেলবন্দি অবস্থায় তাঁর চিকিৎসা হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু তিনি বিচার পাচ্ছেন না।