কুমিল্লায় দুজনের মৃত্যুদণ্ড, একজনের যাবজ্জীবন
চালক জয়নাল আবেদীনকে খুন করে রড বোঝাই ট্রাক ছিনতাইয়ের ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে দুজনকে ফাঁসি এবং একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন কুমিল্লার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক সেলিনা আক্তার। আসামিরা সবাই পলাতক রয়েছেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন লক্ষ্মীপুর জেলার উত্তর চরলরেন্স গ্রামের আহসান উল্লাহ, চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির ছিকনিয়া পূর্বটিলা গ্রামের হোসেন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মোহনপুর এলাকার সামসুল হক। তারা সবাই পলাতক। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার কোর্ট পরিদর্শক মজিবুর রহমান।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মজিবুর রহমান বলেন, ২০০৬ সালের ২০ জুন রাতে ফেনী জেলার পরশুরাম এলাকার ট্রাকচালক জয়নাল আবেদীনকে ছিনতাইয়ের সময় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আমনগণ্ডা এলাকায় গলায় গামছা পেঁচিয়ে খুন করে আসামিরা।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৬ সালের ১৯ জুন রাতে চট্টগ্রাম থেকে রড বোঝাই করে সিলেটের ছাতক যাচ্ছিলেন চালক জয়নাল আবেদীন। রড বোঝাই ট্রাক ছিনতাই করতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আমানগণ্ডা বাজার এলাকায় ট্রাকটিতে সমস্যা আছে বলে হেলপার আবুল হোসেন থামাতে বলেন। তার কথা মতো চালক রাস্তার পাশে ট্রাক থামিয়ে নিচে নামতেই হেলপার আবুল হোসেন মোটা রড দিয়ে তার মাথায় সজোড়ে আঘাত করেন। এ সময় আগে থেকে অবস্থান করা আসামি আহসান উল্লাহ তার গলায় গামছা পেঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। পরে আসামি আবুল হোসেন, আহসান উল্লাহ ও মো. সামসুল হক তার মরদেহ আমানগণ্ডা বাজারের পূর্ব পাশে মহাসড়কের পাশে ফেলে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়। পথচারীর মাধ্যমে খবর পেয়ে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির মরদেহ হিসেবে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় পকেটে থাকা পেট্রলপাম্পের তেলের ভাউচার থেকে গাড়ির মালিকের সন্ধান করে চালকের পরিচয় নিশ্চিত হয় পুলিশ।
এ ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি হত্যা মামলা করে পুলিশ। মামলার সূত্র ধরে তারা হেলপার আবুল হোসেন ও আহসান উল্লাহকে ফটিকছড়ি থেকে আটক করে। পরে অপর আসামি সামছুল হককে কুমিল্লার কান্দিরপাড় থেকে আটক করা হয়। এরপর তারা জামিনে ছাড়া পেয়ে পলাতক হন।