সময়ের আগেই নেওয়া হলো খাতা, পরে শিক্ষার্থীদের ডেকে নিয়ে ফের পরীক্ষা
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার একটি কেন্দ্রে নির্ধারিত সময়ের আধা ঘণ্টা আগেই খাতা নিয়ে নেওয়া ও পরে আবারও শিক্ষার্থীদের ডেকে এনে পরীক্ষা নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার হোসেনপুর পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে এসএসসি ভোকেশনাল বাংলা-২ (সৃজনশীল) বিষয়ের পরীক্ষায় এই ঘটনা ঘটে।
আধা ঘণ্টা আগে খাতা নিয়ে নেওয়ার বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর কেন্দ্র ছেড়ে চলে যাওয়া শিক্ষার্থীদের ডেকে এনে পুনরায় একই প্রশ্নপত্রে বাকি আধা ঘণ্টার পরীক্ষা নেওয়া হয়।
হোসেনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাবেয়া পারভেজ বিষয়টি স্বীকার করে জানান, পরীক্ষার্থীরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণের আশপাশে থাকায় তেমন কোনো সমস্যা হয়নি।
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ফারজানা খানম জানান, ইতোমধ্যে পরীক্ষার্থীদের বঞ্চিত করা ৩০ মিনিট পুনরায় পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। ইউএনওর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিভাবক, পরীক্ষার্থী ও কেন্দ্রসূত্রে জানা যায়, ভোকেশনাল শাখার বাংলা-২ (সৃজনশীল) পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে উল্লেখিত সময় অনুযায়ী বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তবে, হোসেনপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩০ মিনিট আগেই, অর্থাৎ দুপুর সাড়ে ১২টায় উত্তরপত্র জমা নিয়ে পরীক্ষার্থীদের ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে ঘটনা অভিভাবকদের নজরে এলে তারা ইউএনওর কাছে অভিযোগ জানান। খবর পেয়ে ইউএনও কেন্দ্রে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে বাকি ৩০ মিনিটের পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করেন। বেলা ২টার পর এই পরীক্ষা নেওয়া হয়।
কারিগরি শাখার ১৭৫ শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে এই সমস্যা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্রসচিব কাজী আছমা বেগম। এ জন্য রুটিনের অস্পষ্টতাকে দায়ী করে তিনি বলেন, ‘রুটিনে পরীক্ষার সময় ও মানবণ্টনে বিশেষ নির্দেশাবলিতে লেখা রয়েছে, দুই ঘণ্টার পরীক্ষা এক ঘণ্টা ৩০ মিনিট এবং তিন ঘণ্টার পরীক্ষা দুই ঘণ্টায় অনুষ্ঠিত হবে। আবার লেখা রয়েছে, প্রশ্নপত্রে উল্লেখিত সময়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
কেন্দ্রসচিব বলেন, ‘প্রশ্নপত্রে যে সময় নির্ধারণ করা আছে, যদি সেটাই হয়, তাহলে কেন তিন ঘণ্টার পরীক্ষা দুই ঘণ্টা আর দুই ঘণ্টার পরীক্ষা এক ঘণ্টা ৩০ মিনিট লিখতে হয়। মূলত রুটিনের এ অস্পষ্টতার কারণেই কক্ষ পরিদর্শকরা ভুলটি করেছেন।’
পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে উত্তরপত্র জমা নেওয়ার কিছুক্ষণ পরই পরীক্ষার্থীদের হইহুল্লোড়ে বিষয়টি নজরে আসে বলে জানান কেন্দ্রসচিব। তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনার পরে ইউএনও ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে কথা বলে পরীক্ষার্থীদের ডেকে এনে একই উত্তরপত্রে আবার তাদের ৩০ মিনিট করে পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া হয়।’