নওগাঁয় খাদ্য পরিদর্শক অহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
নওগাঁয় এক খাদ্য পরিদর্শকের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের দায়ে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলার বিবাদী অহিদুল ইসলাম নওগাঁর পোরশা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের খাদ্য পরিদর্শক।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত নওগাঁ জেলা কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
মামলায় পোরশা উপজেলার খাদ্য পরিদর্শক অহিদুল ইসলামের মোট এক কোটি ১৩ লাখ ৬১৭ টাকার সম্পদ উল্লেখ করা হয়। এর মধ্যে ৮২ লাখ ৬৮ হাজার ৫২৭ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ বলে উল্লেখ করা হয়।
দুদকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অহিদুল ইসলাম যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেছেন, তা যাচাই-বাছাই করে অসঙ্গতি পাওয়া গেছে। তিনি ৫০ লাখ ৯১ হাজার ৬১৭ টাকা সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। এ ধরনের কর্মকান্ড শাস্তিযোগ্য অপরাধ। জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অপরাধে গত ১৩ সেপ্টেম্বর অহিদুলের বিরুদ্ধে দুদক সমন্বিত কার্যালয় নওগাঁ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক তানভীর আহমেদ বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুদক পোরশা উপজেলা খাদ্য নিযন্ত্রক কার্যালয়ের খাদ্য পরিদর্শক অহিদুল ইসলামের সম্পদের হিসাব বিবরণী তলব করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে অহিদুল ইসলাম তার জ্ঞাত আয় হিসেবে ২৯ লাখ টাকা মূল্যের স্থাবর এবং ৩৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা মূল্যের অস্থাবরসহ মোট ৬২ লাখ ৬০ হাজার টাকার সম্পদ রয়েছে বলে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে উল্লেখ করেন। পরে দুদক অনুসন্ধান চালিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে ৩৯ লাখ ১৭ হাজার ৪১০ টাকা স্থাবর ও ৫৮ লাখ ৮৪ হাজার ২০৭ টাকা অস্থাবর সম্পদ মিলিয়ে মোট ৯৮ লাখ এক হাজার ৬১৭ টাকা মূল্যের সম্পদের সন্ধান পায়। পরে আরও গভীরভাবে অনুসন্ধান করলে দুদক তার স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে মোট এক কোটি ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৬১৭ টাকার সম্পদের অনুসন্ধান পায়।
দুদক সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে অহিদুল ইসলামের ৩০ লাখ ৮৩ হাজার ৯০ টাকা বৈধ আয়ের সন্ধান পায়। এ হিসাব অনুযায়ী জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৮২ লাখ ৬৮ হাজার ৫২৭ টাকার সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রাখা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
পোরশা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের খাদ্য পরিদর্শক অহিদুল ইসলামের বাড়ী নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার চকসিদ্ধেশরী গ্রামে। বর্তমানে তিনি শহরের উকিলপাড়া এলাকায় থাকেন।