রানির শেষকৃত্যে সৌদি যুবরাজের উপস্থিতি নিয়ে অনিশ্চয়তা
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমান যুক্তরাজ্যের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দেবেন না বলে আশা করা হচ্ছে। রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তরের একটি সূত্রের বরাতে বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
পররাষ্ট্র দপ্তরের ওই সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, সৌদি আরব সরকারের সিদ্ধান্তে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।
তবে এর আগে যুক্তরাজ্যে অবস্থিত সৌদি দূতাবাসের ঘনিষ্ঠ সূত্র বিবিসিকে নিশ্চিত করেছে যে, যুবরাজ এই সপ্তাহান্তে লন্ডনে আসবেন। তবে তিনি সোমবার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দেবেন কি না, তা স্পষ্ট নয়।
তবে যুবরাজ সালমানের পরিবর্তে প্রিন্স তুর্কি বিন মোহাম্মদ আল সৌদি রাজপরিবারের পক্ষ থেকে রানির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা বেশি বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র দপ্তরের সূত্র।
এর আগে মোহাম্মদ বিন সালমানকে রানির শেষকৃত্যে যোগদানের জন্য যুক্তরাজ্য আমন্ত্রণ জানায়। এতে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মধ্যে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
আজ সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার চুড়ান্ত পর্ব। এদিন ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবে থেকে তাঁর মরদেহ সমাহিত করার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হবে।
এরই মধ্যে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ব্রিটেনের সরকার। তবে দেশগুলোর সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি হিসেবে যেকোনও উচ্চপদস্থ ব্যক্তি অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে পারবেন বলে শর্ত রাখা হয়েছে। রানির রাষ্ট্রীয় শেষকৃত্য অনুষ্ঠানকে কয়েক দশকের মধ্যে বৃহত্তম কূটনৈতিক সমাবেশ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে গিয়ে নিখোঁজ হন সৌদি সাংভাদিক জামাল খাসোগি। পরে তদন্তে জানা যায়, তাঁকে কনস্যুলেটের ভেতরেই হত্যা করে মরদেহ টুকরো করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।
এরপর থেকে জামাল খাসোগি হত্যায় সৌদি যুবরাজের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ জানিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা। ধারণা করা হচ্ছে, এর জেরে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি এড়াতেই যুক্তরাজ্য সফর বাতিল করেছেন যুবরাজ সালমান।
যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছা নির্বাসনে থাকা সাংবাদিক জামাল খাসোগি মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্টে নিয়মিত কলাম লিখতেন। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ও তার কর্মকাণ্ডের কঠোর সমালোচক হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি।