ছাত্রলীগের ৬ নেতার বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফির অভিযোগ, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের এক নারী নেত্রীর ব্যক্তিগত আপত্তিকর ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে একই দলের ছয় নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। এরপর আজ বুধবার সকালে অভিযুক্তরা সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সেখানে ওই নেত্রীর অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করা হয়। পরে বিকেলে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে ছয়জনের নামে মামলা হয়েছে বলে জানান কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দেলোয়ার হোসেন খান। যদিও তিনি বলেছেন, ‘মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মামলার বিবরণীতে থেকে জানা যায়, বিবাদী ছয়জনই কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য। সেখানে বলা হয়—নানা কৌশল অবলম্বন করে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের ওই নেত্রীর ব্যক্তিগত কিছু ছবি বিবাদীরা নিজ নিজ ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেন। ১৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ওই নেত্রী তার নিজ ফেসবুক আইডিতে ঢুকে আপত্তিকর ছবি দেখতে পান।
ভুক্তভোগী ছাত্রলীগনেত্রীর দাবি, তাঁকে হেয় প্রতিপন্ন ও সম্মানহানি করতে বিবাদীরা তাঁর ব্যক্তিগত ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়েছেন। বিবাদীদের গ্রেপ্তার ও কঠোর শাস্তির দাবিও করেন তিনি।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজ সকালে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ‘অভিযোগ মিথ্যা’ দাবি করে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জ। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান অনিক।
সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়—ওই নেত্রীর সব অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, উদ্দেশপ্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক। হাফিজ আরও দাবি করেন, ‘ওই নেত্রী বিবাহিত, অনেকের সঙ্গে তাঁর অনৈতিক সম্পর্ক আছে।’