গুমের অভিযোগ তদন্তে স্বাধীন প্রক্রিয়া দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র : পিটার হাস
র্যাবের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি উল্লেখ করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস বলেছেন, ‘গুমের অভিযোগ তদন্তের জন্য যুক্তরাষ্ট্র স্বাধীন প্রক্রিয়া দেখতে চায়।’
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি মিলনায়তনে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ-সিজিএস আয়োজিত ‘মিট দ্য অ্যাম্বাসেডর’ অনুষ্ঠানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া কোনো শাস্তি নয়। কর্মকর্তারা যেন তাদের আচরণ পরিবর্তন করে, সেজন্যই এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করছি, র্যাবের আচরণ পরিবর্তন হবে।’
মার্কিন রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ‘গত বছরের ডিসেম্বরে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। এটি খুব ভালো সংকেত।’
শ্রম অধিকারের বিষয়ে রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র চায়, বাংলাদেশে শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন করার সুযোগ থাকুক। এতে করে তারা নিজেদের অধিকার আদায়সহ বিভিন্ন ইস্যুতে দরকষাকষি করতে পারবে।’
যুক্তরাষ্ট্রে গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ না জানানোর কারণ জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘গণতন্ত্র একটি সংগ্রাম। প্রতিনিয়ত এটি নিয়ে কাজ করতে হয়। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছি। আমরা গণতন্ত্র নিয়ে কাজ করছি।’
চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ-বিআরআই প্রসঙ্গে পিটার বলেন, ‘বিআরআইয়ে যোগ দেওয়াটা বাংলাদেশের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। বাংলাদেশ কোন জোটে যোগ দেবে, সেটা তাদের বিষয়।’