আজ মহাষষ্ঠী : পূজার আলোয় আলোকিত বরিশাল
বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা মহালয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে গেছে। আজ শুভ মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে নিরাপত্তার কোনো কমতি রাখছে না বরিশাল পুলিশ। ষষ্ঠীর দিন অর্থাৎ আজ শনিবার থেকেই পূজামণ্ডপ ঘিরে থাকবে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এদিকে দুর্গাপূজা উপলক্ষে আলোকজ্জ্বল হয়ে উঠেছে পুরো নগরী। মণ্ডপগুলোর ভিতর ও সামনের সড়ক সাজানো হয়েছে বাহারি রঙের আলো দিয়ে।
শুক্রবার রাতে বরিশাল নগরীর বিভিন্ন পূজামণ্ডপ ঘুরে বাহারি আলোকসজ্জা দেখা গেছে। আধুনিক নানা বৈদ্যুতিক বাতি দিয়ে সাজানো হয়েছে বড় বড় মঠ ও মন্দিরে থাকা পুকুরের মধ্যে বৈদ্যুতিক বাতি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে পায়রা সেতুও। এই আলোকসজ্জায় ঝলমলে হয়ে উঠেছে বরিশাল নগর।
নগরীর সর্ববৃহৎ পূজামণ্ডপ শ্রী শ্রী শংকর মঠ পূজা উদযাপন কমিটির সহ সাধারণ সম্পাদক সবুজ দাস বলেন, করোনার প্রকোপ কাটিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় অনেকটাই ফিরেছি আমরা। তাই এ বছর বড় করে পূজা উদযাপনের উদ্যোগ নিয়েছি। আধুনিক লাইট দিয়ে মূল মন্দির সাজানো হয়েছে। মন্দির মও বাইরের প্রায় আধা কিলোমিটার সড়কে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। পুকুরের মধ্যে টিউবলাইট দিয়ে তৈরি করা হয়েছে পদ্মা সেতু। পাশাপাশি এলইডি লাইট দিয়ে তৈরি করা হয়েছে দুটি বিশাল তোড়ন।
নগরীতে পূজা উপলক্ষে আলোকসজ্জা দেখতে বের হওয়া শ্রাবন্তী নন্দী বলেন, দুর্গাপূজা এলে পুরো নগরীর সড়ক আলোতে ঝলমল করে ওঠে। আর সেই ঝলমলে নগরী দেখতেই পরিবার নিয়ে বের হয়েছি। ৬টি পূজামণ্ডপের আলোকসজ্জা ঘুরে দেখেছি রিকশায় চরে। নতুন বাজার, অষ্টকোনা মঠ, জগন্নাথ মন্দির, শংকর মঠ, কাটপট্টি চার্চওয়ার্ড ও পাষাণময়ী কালিমাতার মন্দিরে ঘুরেছি।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের দক্ষিণ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ফজলুল করিম বলেন, বন্দর ও কোতোয়ালি মডেল থানা এলাকা মিলিয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ পূজামণ্ডপ রয়েছে ১১টি। সেই পূজা মণ্ডপগুলোতে ৫ জন করে পুলিশ থাকবে, পাশাপাশি পুলিশ সদস্যদের সহায়তা করবে আনসার সদস্যরাও।
তিনি বলেন, মহানগরের সকল পূজামণ্ডপেই মোবাইল টিম থাকবে। পাশাপাশি সাদা পোশাকধারী পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবে। আমরা মাদকের বিরুদ্ধে বেশ শক্ত অবস্থানে রয়েছি।
বরিশাল জেলার পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, বরিশাল জেলা পুলিশের থানাগুলোর আওতায় ৫৩২টি পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা নির্বিঘ্ন করতে এসব মণ্ডপগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ও অধিক গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় স্থায়ীভাবে মোট ৬০০ পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবে। কেউ যদি পূজামণ্ডপে অরাজকতা করার চেষ্টা করে তাহলে তা কঠোর হাতে দমন করা হবে।