দানবাক্সে জমা ১৫ বস্তা টাকার চলছে গণনা
কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে এবার ১৫ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। এখন চলছে সেই টাকার গণনা। আজ শনিবার সকাল ৯টার দিকে জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এই টাকা গণনার কাজ শুরু হয়। এর আগে মসজিদের আটটি দানবাক্স থেকে টাকা একত্রিত করা হয়।
দানবাক্সে বাংলাদেশি টাকা ছাড়াও ডলার, পাউন্ড, রিয়াল, দিনার, রিঙ্গিতসহ বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার পাওয়া গেছে।
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফার তত্ত্বাবাবধানে প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এখন চলছে টাকা গণনার কাজ। এ কাজে মাদ্রাসার ১১২ ছাত্র, ব্যাংকের ৫০ স্টাফ, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ জন সদস্য কাজ করছেন।
কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও পাগলা মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক পারভেজ মিয়া বলেন, ‘দানের টাকা থেকে পাগলা মসজিদ এবং এই মসজিদ কমপ্লেক্সের অন্তর্ভুক্ত মাদ্রাসা, এতিমখানা ও কবরস্থানের ব্যয় নির্বাহ করা হয়। এ ছাড়া জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানায় সহায়তার পাশাপাশি গরিব ছাত্র ও দুঃস্থদের মধ্যে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। বিভিন্ন সামাজিক কাজেও টাকা দেওয়া হয়।’
পারভেজ মিয়া আরও বলেন, ‘আজ বিকেলের মধ্যে টাকা গণনার কাজ শেষ হবে। সব টাকা ব্যাংকে জমা রাখা হবে।’ তিনি বলেন, ‘পাগলা মসজিদ কমপ্লেক্সকে ঘিরে একটি বড় প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে। এটি বাস্তবায়ন হলে মসজিদ কমপ্লেক্স আরও দৃষ্টিনন্দন হবে।’
এর আগে চলতি বছরের ২ জুলাই সর্বশেষ দানবাক্স খোলার পর সাড়ে ১৬ বস্তা থেকে পাওয়া যায় তিন কোটি ৬০ লাখ ২৭ হাজার ৪১৫ টাকা। এ ছাড়া আরও জমা পড়েছিল বৈদেশিক মুদ্রা, স্বর্ণ ও রুপা।