নাটোরের গরুর খামারে লাম্পি স্কিন রোগের হানা
নাটোরের গরুর খামারগুলোতে অ্যানথ্রাক্সের পর এবার দেখা দিয়েছে গরুর লাম্পি স্কিন রোগ। চিকিৎসায় প্রাপ্তবয়স্ক গরু সুস্থ হলেও মারা যাচ্ছে অধিকাংশ বাছুর। ফলে দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন এ অঞ্চলের খামারিরা। মশা ও মাছি এ রোগের বাহক বলে জানিয়েছে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।
জানা গেছে, এ রোগে আক্রান্ত গরুর প্রথমে জ্বর হয়। পরে সারা শরীরে ফোসকা পড়ে মারাত্মক ক্ষত সৃষ্টি হয়। উঠে দাঁড়ানোর ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে আক্রান্ত গরু। চিকিৎসার পর প্রাপ্তবয়স্ক গরু সুস্থ হলেও মারা যাচ্ছে অধিকাংশ বাছুর।
খামারিরা জনান, এই রোগে আক্রান্ত হলে প্রথমে গরুর জ্বর হয়। পরে শরীরে ফোসকার মতো পড়ে ক্ষত হয়ে যায়। এই নতুন রোগ নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘মশা এবং মাছির মাধ্যমে রোগটি ছড়ায়। সরকারি হিসেবে গত তিন মাসে লাম্পি স্ক্রিন রোগে ছয় হাজার গরু আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে ৬০টির মতো। লাম্পিস্কিন রোগের কোনো প্রতিষেধক নেই। তাই খামারীদের হতাশ না হয়ে খামার থেকে মশা ও মাছির উপদ্রব কমাতে ব্যবস্থা নিতে হবে।’