ইরানে বিশৃঙ্খলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলকে দুষলেন খামেনি
নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে এক নারীর মৃত্যু ঘিরে ইরানজুড়ে যে বিক্ষোভের আগুন জ্বলছে তার পেছনে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের ইন্ধন থাকার অভিযোগ তুলেছেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর মাশা আমিনি নামে ২২ বছরের ওই নারী আটক হওয়ার পর ইরানের নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে তাঁর মৃত্যু হয়।কুর্দি অধ্যুষিত অঞ্চল থেকে আমিনি তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে তেহরানে গিয়েছিলেন। পুলিশের দাবি, মাশা হঠাৎ হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন।
হিজাব ঠিকমত পরেননি অভিযোগে পুলিশ তাঁকে আটক করেছিল। মাশার পরিবারের দাবি, পুলিশ আটকের সময় তাঁর মাথায় তাদের লাঠি দিয়ে কয়েকবার আঘাত করে এবং পুলিশের গাড়ির সঙ্গে তাঁর মাথা ঠুকে দেয়। তারপর মাশা অজ্ঞান হয়ে গেলে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিন দিন কোমায় থাকার পর মাশা মারা যান।
যার প্রতিবাদে প্রথমে কুর্দি অধ্যুষিত শহরগুলোতে এবং পরে পুরো দেশজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে নারীদের এই বিক্ষোভে অংশগ্রহণ চোখে পড়ার মত।
এই বিক্ষোভ নিয়ে সোমবারই প্রথম মুখ খুললেন খামেনি। তিনি বলেন, এ ‘দাঙ্গা’ ইরানের চিরশত্রু এবং তাদের মিত্রদের ‘রচিত’। বিক্ষোভে পবিত্র কোরআন পোড়ানো হয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
তিনি নিরাপত্তা বাহিনীকে ভবিষ্যত বিক্ষোভ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকারও আহ্বান জানিয়েছেন।
খামেনির এক দশকের শাসনামলে ইরানে এটিই সবচেয়ে বড় বিক্ষোভে পরিণত হয়েছে।
সোমবার পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ক্যা ডেটদের গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠানে খামেনি বলেন, ‘মাশার মৃত্যু আমাদের হৃদয় ভেঙে দিয়েছে।
‘কিন্তু এখানে যেটা স্বাভাবিক নয় সেটা হচ্ছে কিছু মানুষ কোনও প্রমাণ বা তদন্ত ছাড়াই সড়কগুলোকে বিপজ্জনক করে তুলেছে, কোরআন পুড়িয়েছে, পার্দানশীন নারীদের মাথা থেকে হিজাব খুলে নিয়েছে এবং মসজিদ ও গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’
তিনি অবশ্য তার বক্তৃতায় নির্দিষ্ট করে কোনও ঘটনার কথা উল্লেখ করেননি।