সাম্প্রদায়িক অপশক্তির কাছে ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ কখনোই হারবে না : পাটমন্ত্রী
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক বলেছেন, ‘সাম্প্রদায়িক অপশক্তির কাছে আমাদের ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ কখনোই হার মানবে না।’ আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গনে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত বিজয়া সম্মেলন-২০২২ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে সবধর্মের মানুষের ঐক্যবদ্ধ অংশগ্রহণে আমরা অর্জণ করেছি একটি অসাম্প্রদায়িক-ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র, স্বাধীন বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল এ দেশের হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি উন্নত, শান্তিময় ও সমৃদ্ধ অসাম্প্রদায়িক দেশ হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘সবাই মিলে মুক্তিযুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি। এই দেশ আমাদের সকলের। বাংলাদেশ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের নিরাপদ আবাসভূমি। প্রত্যেকে যার যার ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করছে। সরকার জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোষ্ঠী নির্বিশেষে সবার উন্নয়ন করে যাচ্ছে। সব ধর্মের মানুষ সমভাবে উন্নয়নের সুফল উপভোগ করছে।’
তিনি বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশকে স্বাধীনতা দিয়েছিলেন। কিন্তু নির্মম ঘাতকেরা তাঁকে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে উন্নত করার সময় দেননি। এখন, সেই কাজটি তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষতার সঙ্গে করে যাচ্ছেন। বর্তমান সরকার উন্নয়নের সরকার। এ সরকারের আমলে দেশের প্রতিটি খাতেই উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। সরকার জনগণের কল্যাণে উন্নয়ন করে যাচ্ছে এবং তাদের প্রশংসনীয় ভূমিকায় দেশ আজ বিশ্ব দরবারে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিণত হয়েছে।’
মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ধর্মনিরপেক্ষ ও সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রেখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সকলে একসাথে কাজ করবে বলে পাটমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি মনীন্দ্র কুমার নাথের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃনাল কান্তি দাশ, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিশপ থিয়োটনিয়াস গোমেজ ও স্বামীবাগ আশ্রম ইসকনের অধ্যক্ষ চারুচন্দ্র দাশ ব্রহ্মচারী উপস্থিত ছিলেন।