স্ত্রী-সন্তান আইসিইউতে, মারা গেলেন স্বামী
মারা গেলেন অগ্নিদগ্ধ স্বামী, আর হাসপাতালের বেডে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দিন পার করছেন নিহতের স্ত্রী ও শিশু সন্তান। মানিকগঞ্জ জেলা পশু হাসপাতালের পাশের একটি বাসায় বিস্ফোরণের পর ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয় দগ্ধদের। সেখানেই গতকাল রাতে মৃত্যুর কাছে হার মানেন রাশেদুল ইসলাম (৪৫)।
ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘রাশেদুল মারা গেছেন। তাঁর শরীরের ৮৫ শতাংশ, তার স্ত্রী সোনিয়ার শরীরের ২০ শতাংশ ও শিশু রিফাতের শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। মা ও শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের আইসিইউতে রাখা হয়েছে।’
জানা গেছে, মানিকগঞ্জে পৌরসভার নারাঙ্গাই এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে মাংসের ব্যবসা করেন রাশেদুল ইসলাম। এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে থাকতেন তিনি। সোমবার ঝড়-বৃষ্টির কারণে বাসার দরজা ও জানালা বন্ধ করে রাতে ঘুমিয়ে পড়েন। ফ্ল্যাটের একরুমে রাশেদুল ও মাংসের দোকানের কর্মচারী ফারুক হোসেন (৩৮) এবং অন্য রুমে রাশেদুলের স্ত্রী সোনিয়া আক্তার (৩০) ও আড়াই বছরের সন্তান রিফাত ঘুমিয়ে পড়ে।
মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে রাশেদুল সিগারেটে আগুন ধরানোর জন্য দিয়াশলাইয়ের কাঠি জ্বালানোর পরপরই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় ফ্ল্যাটের একটি রুমের দেওয়াল ধসে পড়ে। এতে রাশেদুল, তাঁর স্ত্রী সোনিয়া, শিশু রিফাত ও দোকানের কর্মচারী ফারুক দগ্ধ হয়।
তাদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় রাশেদুল, তাঁর স্ত্রী ও শিশুসন্তানকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। দগ্ধ ফারুককে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নিহত রাশেদুলের বড় ভাই মো. রসুলদী বলেন, ‘ভাইয়ের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় মঙ্গলবার বিকেলে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। রাত সাড়ে ১২টার দিকে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ভাইয়ের স্ত্রী ও মেয়েকেও ওই হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়েছে।’