পাকিস্তানের সেমিফাইনালে যাওয়ার সমীকরণ
সাদা চোখে পাকিস্তানের বিশ্বকাপ স্বপ্ন শেষ। তবে, শেষের আগে শেষ বলে কিছু নেই। চলতি আসরের হিসাব-নিকাশে স্পষ্ট হয়ে যাবে অনেক কিছু। বড় দল, ছোট দলের গিরা বেশ কয়েক ম্যাচে খুলেছে। সর্বশেষ শিকার পাকিস্তান। নখ কামড়ানো ম্যাচে শেষ বলে জিম্বাবুয়ের কাছে হেরেছে বাবর আজমরা।
পাকিস্তানের হারে জমে উঠেছে গ্রুপ বি। সমান দুইটি করে ম্যাচ খেলেছে প্রত্যেক দল। পাকিস্তান ও নেদারল্যান্ডস ছাড়া বাকিরা একটি করে জয় পেয়েছে, ভারত দুটিতেই। ভারতের পয়েন্ট এখন চার। যেভাবে ছুটছে তারা, সেমিফাইনাল মোটামুটি নিশ্চিত।
টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশের সঙ্গে বড় জয়ের আগে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগিতে মোট তিন পয়েন্ট নিয়ে তারা দুইয়ে। জিম্বাবুয়েরও সমান তিন পয়েন্ট, পিছিয়ে আছে নেট রানরেটে।
পাকিস্তানের সম্ভাবনা ঝুলে আছে সমীকরণের সুতোয়। দুই ম্যাচ পর পয়েন্টশূন্য তারা। সেমিফাইনাল খেলতে হলে পাকিস্তানকে স্রেফ বাকি তিন ম্যাচ জিতলেই হবে না, চোখ রাখতে হবে ভারত ও জিম্বাবুয়ের দিকে। ভারত যদি পরের তিন ম্যাচই বড় ব্যবধানে জিতে এবং জিম্বাবুয়ে অন্তত দুই ম্যাচে হারে, তাহলেই ছিঁড়বে পাকিস্তানের ভাগ্যের শিঁকে।
ভারতের বাকি তিন ম্যাচ জিম্বাবুয়ে, দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশের বিপক্ষে। দক্ষিণ আফ্রিকা পরীক্ষা নেবে ভারতের, বড় ব্যবধানে জয়ের চিন্তা তাই অমূলক। ভারতের চিন্তাতেও নিশ্চয়ই শুধু জয়! বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়েকে হেসেখেলে উড়িয়ে দেওয়ার সামর্থ্য ভারতের থাকলেও চলতি আসরে জিম্বাবুয়ের ফর্ম বলছে এত সহজ হবে কিছুই। জিম্বাবুয়ের তিন প্রতিপক্ষ ভারত, বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডস। সাম্প্রতিক অবস্থা বিবেচনায় ভারত ছাড়া বাকি দুই দলের একটিকে জিম্বাবুয়ে হারাবে, এই বাজি ধরা যেতে পারে। এমনকি, সামর্থ্য আছে উভয় দলকে হারানোর।
পাকিস্তানের তাই ভাগ্যের ওপর নির্ভর করা ছাড়া উপায় নেই। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অষ্টম আসরের প্রথম দুই ম্যাচে পাকিস্তানের ভরাডুবির কারণ তারা নিজেরাই। সমীকরণের জটিল মারপ্যাঁচ খুব বেশি সুবিধা করতে পারবে বলে মনে হয় না। যদিও লেগেও যায়, পাকিস্তান যে বাকি থাকা তিন ম্যাচেই জিতবে তার নিশ্চয়তা নেই। বাংলাদেশ, নেদারল্যান্ডস ছাড়াও প্রতিপক্ষ হিসেবে অপেক্ষা করছে দক্ষিণ আফ্রিকা!