হত্যা মামলায় দুই ভাইয়ের আমৃত্যু, ৫ জনের যাবজ্জীবন
গাজীপুরের শ্রীপুরে সুলতান উদ্দিন হত্যা মামলায় তার দুই ভাইয়ের আমৃত্যু এবং পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। আমৃত্যু দণ্ডাদেশপ্রাপ্তদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
আজ সোমবার গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক বাহাউদ্দিন কাজী এ রায় দেন।
নিহত সুলতান উদ্দিন শ্রীপুরের বেড়াইদেরচালা এলাকার ধনাই বেপারীর ছেলে। আমৃত্যু দণ্ডাদেশপ্রাপ্তরা হলেন- সুলতান উদ্দিনের দুই ভাই মো. মাইন উদ্দিন (৬৫) ও আবুল কাসেম বেপারী (৬০)। যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশপ্রাপ্তরা হলেন- দুলাল উদ্দিন (৫০), আব্দুল মান্নান (৫৫), বেলতলী এলাকার মাইন উদ্দিন (৬০) ও একই এলাকার মো. আজিজুল হক (৬০)।
আদালতে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মো. গিয়াস উদ্দিন (৬০) নামে একজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
নিহত সুলতান উদ্দিনের ছেলে ও বাদীপক্ষের আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান বাহাদুর জানান, জমি-জমা নিয়ে সুলতান উদ্দিন ও আসামিদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ চলছিল। ১৯৯৩ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর রাত ১১টার দিকে সুলতান উদ্দিন, তার ভাই মোতাহার হোসেন ও প্রতিবেশি মুজিবুর রহমান নিজ বসতবাড়ির পশ্চিমের ঘরে বসে পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে আলাপ-আলোচনা করছিলেন। পরে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রসহ আসামিরা আরও কয়েকজনকে নিয়ে ওই ঘরের খোলা দরজা দিয়ে ভেতরে ঢোকেন। একপর্যায়ে সুলতান উদ্দিনকে ধরে বুকে ও শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে ঘটনাস্থলেই হত্যা করেন। এ সময় সুলতানের দুই ছেলে মোবারক হোসেন ও আবুল কালাম আজাদ বাবাকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে তাদেরও ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করা হয়। পরে তাদের চিৎকারে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এলে আসামিরা গুলি করতে করতে পালিয়ে যান। পরের দিন সুলতানের ভাই মো. মোতাহার হোসেন বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় মামলা করেন।
১৯৯৭ সালে গাজীপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ মামলার বিচার কাজ শুরু হয়। দীর্ঘদিন শুনানি ও ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ আসামিদের উপস্থিতিতে এ মামলার রায় দেন আদালতের বিচারক।
আইনজীবী মোস্তফিজুর রহমান বাহাদুর বলেন, হত্যাকাণ্ডের ১৫ দিন আগে আসামিদের কয়েকজন আমার বাবা সুলতান উদ্দিনকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন। তখন থানায় জিডি করা হয়। জিডির ১৫ দিন পরই বাবাকে হত্যা করা হয়।