কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলায় ৫ ভাইয়ের যাবজ্জীবন
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে দেড় দশক আগে জমিজমা সংক্রান্ত দ্বন্দ্বের জেরে সংঘটিত কৃষক রেজাউল হত্যাকাণ্ডের দায়ে আপন পাঁচ ভাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ অর্থদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার দুপুর দেড়টায় কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক তাজুল ইসলাম জনাকীর্ণ আদালতে সাজাপ্রাপ্ত দুজনের উপস্থিতিতে এই রায় দেন। রায়ে প্রত্যেক আসামিকে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর করে সাজার আদেশ দেন আদালত।
সাজাপ্রাপ্তরা আসামিরা হলেন কুমারখালী উপজেলার মাঝগ্রামের বাসিন্দা উজ্জ্বল হোসেন (৪৭), জালাল উদ্দিন (৫৬), সেজ্জাত ওরফে সুজাত (৪৩), আব্দুল গফুর (৬৭) ও সুজন হোসেন (৩৮)।
রায় ঘোষণার সময় আসামি গফুর ও জালাল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর পরই তাদের পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। অপর আসামিরা পলাতক রয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালের ১১ জুন রাত সাড়ে ১০টার দিকে রেজাউল ধানক্ষেতে সেচ দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে আসামিরা পূর্বশত্রুতার জেরে সংঘবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করেন। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এ ঘটনায় নিহত রেজাউলের মামা আফিল উদ্দিন শেখ বাদী হয়ে কুমারখালী থানায় আটজনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও পাঁচ-ছয়জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
মামলাটি তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ৭ জানুয়ারি ১২জনের বিরুদ্ধে কৃষক রেজাউল হত্যায় জড়িত অভিযোগ এনে আদালতের চার্জশিট দাখিল করেন কুমারখালী থানার উপপুলিশ পরিদর্শক সামছুল আলম সিদ্দিকী।
কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী জানান, কৃষক হত্যার দায়ে কুমারখালী থানার মামলায় আপন পাঁচ ভাইয়ের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ২৫ হাজার টাকা করে অর্থ দণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। জরিমানার টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হলে আরও এক বছর করে সাজা খাটতে হবে তাদের।