বাংলাদেশ আজ কয়টি ক্যাচ মিস করল?
একটি দুর্দান্ত ক্যাচ কিংবা আউট যে কোনো দলের জন্য খেলা ঘুরিয়ে দিতে পারে। এজন্যই ক্রিকেটকে গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা বলা হয়।
আজ বুধবার অ্যাডিলেডে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের কিছু সুযোগ এসেছিল। কয়েকটি সহজ সুযোগ, কিছু একটু কঠিন। তবে এগুলো কাজে লাগাতে পারলে ম্যাচের চেহারা অন্যরকম হতে পারত।
২.৪ ওভারে অধিনায়ক রোহিত শর্মার ক্যাচ ফেলে দেন ডিপ ব্যাকওয়ার্ডে দাঁড়িয়ে থাকা ফিল্ডার হাসান মাহমুদ। এটিই বাংলাদেশের প্রথম ক্যাচ মিস। পরের ওভারেই অধিনায়ক সাকিব বলে আনেন হাসান মাহমুদকে। ৩.২ ওভারে হাসান মাহমুদের বলে গ্যালিতে ইয়াসির আলির হাতে ক্যাচ দেন রোহিত। এবার সুযোগ ছাড়েনি বাংলাদেশি ফিল্ডার। লুফে নেন ভারতীয় অধিনায়কের ক্যাচ।
৫.৪ ওভারে মুস্তাফিজের বলে ব্যাটের ওপরের কানায় লেগে স্লিপের খানিকটা দূরে পড়ে বাউন্ডারি হয়। স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা ইয়াসির আলি বলটি লুফে নিতে পারেননি। বিরাট কোহলি ছিলেন তখন ৯ রানে। এটিতে অবশ্য ইয়াসিরকে দোষ দেওয়া যায় না। তবে এই সুযোগটি কাজে লাগাতে পারলে ৬৪ রানে অপরাজিত কোহলিকে আগেই থামানো যেত।
১২ তম ওভারে বলে আসেন সাকিব। তাঁর প্রথম বলেই ৬ বল থেকে ১১ রান করা সূর্যকুমার যাদব ক্যাচ তুলে দেন। দৌঁড়ে এসে কিছুটা নাগাল পেলেও ধরতে পারেননি ফিল্ডার মুস্তাফিজ। শেষ পর্যন্ত যাদব করেছিলেন ৩০ রান।
১৭.৫ ওভারে সাকিব নিজেই অক্ষর প্যাটেলের ক্যাচের সুযোগ হাতছাড়া করেন। ক্যাচটি ধরা একটু কঠিন ছিল, তবে ম্যাচের মোড় ঘোরাতে এ ধরনের সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে মোমেন্টাম পাওয়া যায়। পরে অবশ্য ১৮.১ ওভারে হাসান মাহমুদের বলে প্যাটেলের ক্যাচ নেন সাকিব।
ভারত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৮৪ রান করে। জবাবে বাংলাদেশ ৭ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ৬৬ রান করে। এর পরেই ম্যাচে আসে বৃষ্টির বাঁধা।