গরু চুরির নেপথ্যে ছাত্রলীগনেত্রী, তদন্তে নেমে চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের!
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কখনো সৌন্দর্যের উত্তাপ আবার কখনো সৌরভ ছড়ানো ছাত্রলীগনেত্রী গরু চোরচক্রের নেপথ্যে! অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, ছাত্রলীগনেত্রীর এমন ঘটনায় তদন্তে নেমে চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের! সাভারে এমন আশ্চর্যবোধক প্রশ্নই ছিল বুধবার সবার মুখে মুখে। অবশেষে সেই ছাত্রলীগনেত্রী বাবলী ইয়াসমিনকে গরু চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সাভারে গরু চুরির মামলায় ছাত্রলীগের জেলা পর্যায়ের এই নেত্রীকে গ্রেপ্তারের খবরটি বুধবার স্থানীয়ভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছিল আলোচনার কেন্দ্রে। গরুকে আদর করছেন বাবলি-নিজের ফেসবুকে শেয়ার করা এমন একটি ছবিই বেশি ঘুরছে ফেসবুকের দেওয়াল থেকে দেওয়ালে।
গরু চুরির মামলায় গ্রেপ্তার ছাত্রলীগনেত্রী বাবলি ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক। অনেক হিসাব-নিকাশ করেই বাবলিকে গ্রেপ্তার করতে হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বাবলি গরু চুরিকাণ্ডে সর্দারনীর ভূমিকায় থাকবেন এমন খবরটিও স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারছেন না ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ইতোমধ্যে বাবলিকে নিয়ে ফেসবুকে ট্রল করতেও দেখা গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি ব্যবহারকারীদের।
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতিকুর রহমান জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই ধামরাই উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নের সিঁতি গ্রামে নিয়মিত গরু চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলাও করা হয়। সেই মামলার তদন্তে নেমে বিস্মিত হয় পুলিশ। জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তারের পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে গরু চোর দলের সর্দারনীর ভূমিকায় থাকা বাবলি ইয়াসমিনের নাম।
বুধবার ভোরের অভিযানে সাভার থেকে বাবলিকে গরু চুরির মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে পাঠানো হয় ঢাকার মুখ্য বিচারিক আদালতে। তারপরই নড়েচড়ে বসে সবাই। খোঁজখবর নেওয়া শুরু হয় বাবলির কর্মকাণ্ড সম্পর্কে।
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, ধামরাই উপজেলায় কয়েকটি গরু চুরির ঘটনা ঘটে। ঘটনাগুলোতে মামলা হয়। পরে তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যায় বাবলী ইয়াসমিন গরুগুলো গোপন আস্তানায় নিজের হেফাজতে রেখে বিক্রি করতেন।
বাবলির ছাত্রলীগের পদ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুল ইসলাম। গরুচুরির কাণ্ডে এই নেত্রীর জড়িত থাকায় বেশ বিরক্ত ও বিব্রত নেতারা।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সাইদুল ইসলাম বলেন, আমি বিষয়টি জানি না। তবে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।