ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ‘কঠোর’ সামরিক প্রতিক্রিয়া উত্তর কোরিয়ার
উত্তর কোরিয়া তার পূর্ব জলসীমায় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। সিউলের কর্মকর্তাদের মতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হুমকির কয়েক ঘণ্টা পরেই ‘কঠোর সামরিক প্রতিক্রিয়া’ দেখাল দেশটি। খবর আলজাজিরার।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ বলেছেন, বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়ার ওনসান এলাকা থেকে স্বল্প পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোঁড়া হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় ২৪০ কিলোমিটার (১৪৯ মাইল) পৌঁছে এবং ৪৭ কিলোমিটার (২৯ মাইল) উচ্চতায় ওঠে।
উৎক্ষেপণের কিছুক্ষণ আগে জেসিএস বলেছে, দক্ষিণ কোরিয়া এবং মার্কিন সামরিক বাহিনী ‘পূর্বপরিকল্পিত’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা মহড়া করেছে। এতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী দৃঢ় প্রস্তুতির ভঙ্গি বজায় রাখবে।
পিয়ংইয়ং এই বছর একটি সম্ভাব্য ব্যর্থ আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ রেকর্ড সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে, যখন ওয়াশিংটন এবং সিউল তাদের যৌথ সামরিক অনুশীলনের পরিধি এবং স্কেল প্রসারিত করেছে। কিছু মহড়ায় জাপান জড়িত রয়েছে।
উত্তেজনার মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের নেতারা গত সপ্তাহে কম্বোডিয়ায় পূর্ব এশিয়া শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে ত্রিপক্ষীয় আলোচনায় বসেন এবং ‘প্রতিরোধ জোরদারের’ জন্য একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন।
আলোচনার পর এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইওন সুক-ইওল এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা উত্তর কোরিয়ার ‘বিপুল ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের’ তীব্র নিন্দা করেন এবং নিরাপত্তা ক্ষেত্রে এবং তার বাইরেও ‘ঘনিষ্ঠ ত্রিপাক্ষিক সংযোগ স্থাপনের’ প্রতিশ্রুতি দেন।
উত্তর কোরিয়া বৃহস্পতিবার ত্রিপাক্ষিক শীর্ষ সম্মেলনের নিন্দা করেছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী চো সন হুই বলেছেন, তিনটি দেশের ‘আগ্রাসনের জন্য যুদ্ধ মহড়া’ পিয়ংইয়ংকে থামাতে পারবে না, বরং নিজেদের ওপর ‘আরও গুরুতর, বাস্তবসম্মত এবং অনিবার্য হুমকি’ নিয়ে আসবে।