ময়মনসিংহে বিএনপির গাড়িবহরে হামলা, আহত ১২
ময়মনসিংহের ফুলপুরে গুলি করে ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের বহনকারী গাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও পিটিয়ে আহত করা হয়েছে ১২ নেতাকর্মীকে। ভাঙচুর করা হয়েছে মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারসহ তিনটি যানবাহন।
আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ৩টায় ফুলপুর পৌর সদরের কুড়িয়াল সেতুর কাছে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
হামলায় আহত হয়েছেন ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি রুকনুজ্জামান রুকন, উত্তর জেলার সভাপতি শামসুল হক শামসু এবং ছাত্রদলনেতাসহ ১২ নেতাকর্মী। পরিস্থিতি শান্ত হলে বিএনপি নেতা পিন্স বিকেল পৌনে ৫টায় নিরাপদে সমাবেশে পৌঁছেন।
হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগের সমর্থক ও কর্মীদের দায়ী করেছেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।
বিএনপির এই নেতা বলেন, তিনি ফুলপুরের আমুয়াকান্দা বাজারে বিএনপির কর্মী সমাবেশে আসছিলেন। ঘটনাস্থলে আওয়ামী লীগের সমর্থক ও কর্মীরা ১৫টি মোটরসাইকেলসহ লোহার রড, দা, বল্লম ও বন্দুক নিয়ে ওত পেতে ছিল। ফুলপুরে প্রবেশপথে কুরিয়াল সেতুতে ব্যক্তিগত যানবাহন থামিয়ে তাকে (এমরান সালেহ প্রিন্স) খোঁজাখুঁজি করে হামলাকারীরা।
খবর পেয়ে ময়মনসিংহ ও ফুলপুরের বিএনপির নেতাকর্মীরা একটি বাস, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকার নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেন। সেখানে পৌঁছার পর গুলি করে ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তাদের গাড়িবহরে হামলার ঘটনাটি ঘটেছে। হামলায় আহত হন জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নিহাদ সালমান ডুনন, সাধারণ সম্পাদক রায়হান শরীফ হলুদ, সহসাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসাইনসহ অনেকে।
বিএনপিনেতা প্রিন্স বলেন, ঘটনার পর তিনি ফুলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) ফোন করেন। পরে তাকে নিরাপত্তার আশ্বাস দিলে তিনি সমাবেশস্থলে আসেন।
ফুলপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, হামলার ঘটনার পর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স তাকে ফোন করেছিলেন। তাৎক্ষণিক সেখান পুলিশ পাঠানো হলেও অভিযোগের মতো কিছুই পাওয়া যায়নি। পরে তাকে আশ্বস্ত করা হলে তিনি নিরাপদে সমাবেশস্থলে পৌঁছান।