স্কুলছাত্রী নীলা হত্যা : সাক্ষ্যগ্রহণ ২৮ নভেম্বর
সাভারে স্কুলছাত্রী নীলা রায় হত্যা মামলার প্রধান আসামি মিজানুর রহমানসহ তাঁর তিনজনের বিরুদ্ধে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকার পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ফেরদৌস ওয়াহিদ এ দিন ধার্য করেন।
আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আজাদ বলেন, ‘এদিন আদালতে মামলার বাদী নীলার বাবা নারায়ণ রায়কে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। তার জেরা শেষ না হওয়ায় আগামী ২৮ নভেম্বর তার জেরা ও অন্য সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেন। এর আগে গত ৩১ অক্টোবর আদালতে সাক্ষ্য দেন নীলার বাবা নারায়ণ রায়। সেদিন তাকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। ওইদিন তার জেরা শেষ না হওয়ায় ২৩ নভেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করেন আদালত।’
এপিপি আরও বলেন, ‘গত ৩ আগস্ট ঢাকার ভারপ্রাপ্ত পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ইসমত জাহান আসামিদের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগ গঠন করেন। একইসঙ্গে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন।’
মামলার বিবরণী থেকে জানা গেছে, নীলা হত্যাকাণ্ডে ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১০টায় সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের রাজফুলবাড়িয়ার কর্নেল ব্রিকস ফিল্ডের পাশে অভিযান পরিচালনা করে মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ সময় মিজানের দুই সহযোগী সাকিব ও জয়কে আটকসহ আলামত হিসেবে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরিও জব্দ করা হয় বলে জানায় পুলিশ। পরে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এর আগে ২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রাতে হাসপাতালে যাওয়ার সময় ভাইয়ের সামনে থেকে দশম শ্রেণির ছাত্রী নীলা রায়কে (১৪) তুলে নিয়ে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে হত্যা করে মিজানুর রহমান চৌধুরী। এ ঘটনায় সাভার থানায় মিজানসহ আরও আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়। মামলার পরে ২০২১ সালের ২৮ এপ্রিল ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে সাভার থানার পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) নির্মল কুমার দাস।
অভিযোগপত্রে মিজানুর রহমান চৌধুরী ও তার বন্ধু সাকিব হোসেন এবং সেলিম পাহলানকে আসামি করা হয়। মিজানকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। অপরদিকে, আর উচ্চআদালত থেকে জামিনে থাকা সাকিব ও সেলিমও আদালতে হাজির ছিলেন।
এ সময় অভিযোগপত্রে মিজানুরের বাবা আব্দুর রহমান এবং মা নাজমুন্নাহার সিদ্দিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের অব্যাহতির আবেদন করে পুলিশ।