মিরাজদের সেমির পথ প্রশস্ত হলো?
কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতকে এড়াতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ। যুব বিশ্বকাপে তাই নামিবিয়ার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচটিকে ফাইনালের আগে আরেকটি ‘ফাইনাল ম্যাচ’ বলেছিলেন তিনি। কারণ এই ম্যাচটি জিতলে পরবর্তী পর্বে প্রতিপক্ষ হিসেবে তাঁরা পাবেন নেপালকে। আর হারলে ভারতকে।
শেষ পর্যন্ত তাঁর সেই আশা পূরণই হয়েছে। নামিবিয়াকে হারিয়ে ‘এ’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় কোয়ার্টার ফাইনালে মিরাজরা পেলেন নেপালকে। তূলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষ পাওয়ায় তাহলে কি বাংলাদেশের সেমিফাইনালে ওঠার পথ অনেকটাই প্রশস্ত হলো?
অবশ্য এই নেপালকে একেবারেই দুর্বল ভাবা যাবে না। কারণ এই দলটিই গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের মতো দলকে ৩২ রানে হারিয়ে চমক দেখিয়েছিল। পরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষেও আট উইকেটের বিশাল ব্যবধানে জয় নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে দ্বিতীয় চমক দেখিয়েছে। অবশ্য ভারতের কাছে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে হেরে যায় ৭ উইকেটে।
তাই বাংলাদেশ যে কোয়ার্টার ফাইনালে খুব সহজেই পার পাবে, তা বলা যাবে না। কারণ নেপালের এই দলটি বেশ ভারসাম্যপূর্ণ। তা ছাড়া তিন ম্যাচের মধ্যে ভারতের বিপক্ষে একমাত্র ম্যাচ ছাড়া বাকি দুটি ম্যাচেই তারা যথেষ্ট ভালো খেলেছে। বিশেষ করে প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই বেশ ভালো খেলেছে। আর আয়ারল্যান্ডকে তো একেবারেই বিধ্বস্ত করেছিল, মাত্র ১৩১ রানে অলআউট করে দিয়ে। আর তাদের বিপক্ষে নেপালের জয় আট উইকেটে।
তবে ঘরের মাঠে বাংলাদেশও বেশি উজ্জীবিত। এখন পর্যন্ত তিনটি ম্যাচেই বেশ দাপুটে জয় পেয়েছে। প্রথম ম্যাচে গতবারের চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৪৩ রানে হারানোর পর বাকি দুই ম্যাচে যথাক্রমে স্কটল্যান্ড ও নামিবিয়ার বিপক্ষে ১১৪ রানে এবং আট উইকেটে জিতেছে।
স্বাগতিকদের জন্য সবচেয়ে বড় প্রেরণা হতে পারে তাদের দুই ক্রিকেটারের গড়া দুটি দারুণ রেকর্ড। তরুণ ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত যুব ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রানের (এক হাজার ৭৪৭ রান) রেকর্ড করেছেন এই বিশ্বকাপেই। আর অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজও যুব ওয়ানডের সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারি হয়েছেন নামিবিয়ার ম্যাচে দুই উইকেট নিয়ে। ৫৩ ম্যাচে তাঁর উইকেট সংখ্যা ৭৪টি।
তাই এখন কোয়ার্টার ফাইনালে এই দুই দলের লড়াইটা কেমন হবে তা দেখার অপেক্ষায় আছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।