সাংবিধানিক অধিকারকে সুরক্ষা দেওয়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজ : আমীর খসরু
সরকার ও পুলিশ বাহিনীকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর সমাবেশে সরকার যেন তার পুলিশ বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে অন্যায়ভাবে কোনো বাধা না দেয়। তিনি বলেন, বিএনপি যে সমাবেশগুলো করছে, এগুলো তাদের সাংবিধানিক অধিকার। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজ সাংবিধানিক অধিকারকে সুরক্ষা দেওয়া।
আজ শুক্রবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে জিয়া পরিষদের উদ্যোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘দেশ নায়ক তারেক রহমানের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে খসরু এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, ‘তারেক রহমানের আগামী দিনের ভাবনার মূল ভিত্তি হলো তাঁর বাবা শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শ এবং মা খালেদা জিয়ার আদর্শ ধারণ করে বাংলাদেশকে নতুন করে গঠন করা।’ তিনি আরও বলেন, ‘রাজনীতিতে পরিবর্তন ঘটিয়ে সব পরিস্থিতি রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করে দেশকে নতুন করে গঠন করার ভাবনা তারেক রহমানের মাথায় রয়েছে। তিনি ইতোমধ্যে জাতীয় সরকারের ঘোষণা দিয়েছেন। রাষ্ট্রের জন্য এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।’
খসরু বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগের কোনো নেতার বক্তব্যের জবাব দিতে চাই না। কারণ, জবাব দিতে হলে যে জায়গায় নেমে জবাব দিতে হবে, সেই জায়গায় আমি নামতে পারব না। আমি শুধু একটি কথা বলতে চাই, বিএনপি একটি রাজনৈতিক দল। জনগণের পক্ষে কাজ করা, জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য রাজপথে আন্দোলন করা এটি একটি রাজনৈতিক দলের জন্য সাংবিধানিক অধিকার। তাই সরকারকে এবং সরকারের পুলিশ বাহিনীকে হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, আগামী ১০ ডিসেম্বরের আন্দোলনে সরকার যেন তার এই পুলিশ বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে অন্যায়ভাবে কোনো বাধা তৈরি না করে।’
সভায় সভাপতিত্ব করেন জিয়া পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল কুদ্দুস। অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদের পরিচালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, জিয়া পরিষদের অধ্যাপক ড. মো. লুৎফর রহমান, ড. মো. এমতাজ হোসেন, আব্দুল্লাহিল মাসুদ, সাইফুর রহমান মিহির, অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান, প্রকৌশলী রুহুল আলম, মো. রবিউল ইসলাম, সহিদুল হক সহিদ, প্রকৌশলী শরিফুজ্জামান খান, নুরুন্নবী খান প্রমুখ বক্তব্য দেন।