ব্রাজিলের মধ্যমাঠের ভরসা ক্যাসেমিরো
ফুটবল গোলের খেলা। যারা গোল করেন, তারাই নায়কের আসনে বসেন। তবে যারা ফুটবল নিয়ে ঘাঁটে, তারা জানে মধ্যমাঠের গুরুত্ব কতটুকু! নিজেদের সমস্ত ছক সফল করা এবং বিপক্ষের কৌশল নস্যাৎ করতে প্রধান ভূমিকা রাখে মাঝমাঠ। বলা হয়, যাদের দখলে মাঝমাঠ থাকে, ম্যাচ তাদের।
সার্বিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে জয়লাভ করে ব্রাজিল। রিচার্লিসনের চমৎকার গোলটি তাকে নিয়ে আলাপ তুলতে বাধ্য করেছে। কিন্তু নীরবে আরেকজন রেখেছেন অন্যতম ভূমিকা। তিনি কার্লোস হেনরিক ক্যাসেমিরো। ব্রাজিলের মাঝমাঠের প্রাণভোমরা। ক্যাসেমিরোর মতো একজন দলে থাকা মানে শুরুতেই এগিয়ে যাওয়া।
ব্রাজিলের সাবেক ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার গিলবার্তো সিলভার মতে ক্যাসেমিরো বদলে দিতে পারেন যে কোনো ম্যাচের গতিপথ। তিনি লিখেছেন, ‘আমার নিজের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। ক্যাসেমিরো এমন এক অস্ত্র, দলের মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রাখেন। সে জানে কখন কী করতে হবে তাকে। সে অনুযায়ী মাঠে পারফর্ম করে সে।’
সিলভা আরও যোগ করেন, ‘ব্রাজিলের মতো আক্রমণাত্মক দলে ক্যাসেমিরোর মতো একজন দরকার, যে কি না সময় বুঝে খেলবে। মিডফিল্ডে কেবল ট্যাকল করাটাই আসল নয়। বরং প্রতিপক্ষের আক্রমণ থামিয়ে দিতে জানতে হয়, অবশ্যই মাথা ঠান্ডা রেখে। এখানে ক্যাসেমিরো অনন্য।’
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ৩০ বছর বয়সী তারকা সম্পর্কে বাড়িয়ে বলেননি সাবেক তারকা সিলভা। কারণ, বলসহ তো বটেই, বল ছাড়াও ক্যাসেমিরো রাখেন দুর্দান্ত ভূমিকা। তাতেই নির্ভার হয়ে আক্রমণ করার ছাড়পত্র পায় সেলেসাওরা।