মিরাজ-মুস্তাফিজের জুটিতে রেকর্ড
দুপুরে শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে প্রবেশ করার সময় বাংলাদেশের ভক্তরা কি ভেবেছিল, এতটা স্নায়ুর চাপ সামলাতে হবে তাদের? দলটি বাংলাদেশ বলেই আগে থেকে কিছু বলা অনিশ্চিত। বিশেষত ভারতের বিপক্ষে। বারবার তীরে এসে তরি ডোবানোই যেন নিয়তি!
মিরপুরে প্রথমে বল হাতে বাংলাদেশ সেরাটা দিয়েছে। সাকিব আল হাসানের পাঁচ উইকেট, ইবাদত হোসেনের চার শিকারে ভারত গুটিয়ে যায় মাত্র ১৮৬ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে মাঠে নামার আগে টাইগারদের জয়ই দেখছিল সবাই।
কিন্তু দলটা বাংলাদেশ! সমীকরণের সরলরেখা ধরে এগোনোর অভ্যাস নেই। তাই সহজ ম্যাচটাকে বানিয়ে ফেলে ভীষণ জটিল। নবম ব্যাটার হিসেবে হাসান মাহমুদ আউট হলে, আশা শেষ হয়ে যায়। জিততে হলে প্রয়োজন ৫১ রান, হাতে মোটে ১ উইকেট।
মুস্তাফিজুর রহমান নামলেন শেষ ব্যাটার হিসেবে। আগে থেকে ক্রিজে ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ঠান্ডা মাথায় খেলতে লাগলেন দুইজন। মুস্তাফিজের ডিফেন্স আর মিরাজের আগ্রাসন, দুইয়ের মিশেলে অসম্ভবের পেছনে ছুটতে থাকে বাংলাদেশ।
৪৬তম ওভারের শেষ বলে মিরাজের বুনো উল্লাস। তার ব্যাট থেকে এসে গেছে কাঙ্খিত ম্যাচ জয়ী রান। ৩৯ বলে ৩৮ রানে অপরাজিত তিনি। সঙ্গী মুস্তাফিজ অপরাজিত ১১ বলে ১০ রানে। মুস্তাফিজের এই ১১ বলের মাহাত্ম্য শতকের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়।
মিরাজ-মুস্তাফিজ মিলে গড়লেন ৪১ বলে ৫১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। রান তাড়ায় শেষ উইকেটে এটিই হয়ে রইলো বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটি। রেকর্ড গড়া সন্ধ্যায় স্নায়ুর চূড়ান্ত পরীক্ষা নিয়ে ও দিয়ে যেভাবে ওরা জয় ছিনিয়ে আনলো, তাতে বহুদিন গল্প করার মতো রসদ পেয়েছে দেশের সমর্থকরা।